NSP Scholarship Application: ভারতীয় সংবিধান অনুসারে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিটি শিশুর বিনামূল্যে শিক্ষাদানের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি শিশুকে বিনামূল্যে অবৈতনিক পঠন পাঠন সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। তাই প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে বিনামূল্যে পঠন-পাঠন পরিচালনা করলেও উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা সমস্যার সম্মুখীন হন। তাই ভারত সরকার এই সমস্ত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা করেছে।
ভারত সরকারের দ্বারা পরিচালিত এই স্কলারশিপের নাম ন্যাশনাল স্কলারশিপ। কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল স্কলারশিপ পোর্টাল (National Scholarship), মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকেন। তাই আপনাদের মধ্যে যারা উচ্চ শিক্ষায় ভারত সরকারের স্কলারশিপ পেতে চান তারা প্রতিবেদনটি বিস্তারিত দেখুন। আজকের প্রতিবেদনে আমরা কেন্দ্র সরকারের ন্যাশনাল স্কলার্শিপ পোর্টাল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
সম্পর্কিত পোস্ট
লক্ষীর ভান্ডারে ডাবল সুবিধা! এর পাশাপাশি অন্য প্রকল্পে সরাসরি সুবিধা -WB Lashmir Bhandar Benefit

ন্যাশনাল স্কলারশিপ কি?
ন্যাশনাল স্কলারশিপ পোর্টাল হলো ভারত সরকারের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের দ্বারা তৈরি একটি প্ল্যাটফর্ম। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজে পড়া বা ইউনিভার্সিটিতে পড়ার ক্ষেত্রে আর্থিক সুবিধা পায়। আবেদনকারীর ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি স্কলারশিপের সুবিধা প্রদান করা হয়। সরাসরি আবেদনকারী ব্যাংক একাউন্টে স্কলারশিপ এর অর্থ প্রদান করা হয়, ফলে দুর্নীতি অথবা অর্থ কারচুপি কোন সম্ভাবনা নেই। বর্তমানে এই স্কলারশিপের উপর ভরসা করে কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী তাদের উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করছেন।
এই স্কলারশিপের মাধ্যমে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১০০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত স্টাইপেন্ড প্রদান করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিক ও আইটিআই পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে ১০,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত স্টাইপেন্ড প্রদান করে। স্নাতক ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে ২০,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত স্টাইপেন্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও কোন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা যদি পিএইচডির মত কোর্স সম্পূর্ণ করতে স্কলারশিপের আবেদন করেন তাহলে তাদের ক্ষেত্রে অর্থের পরিমাণ আরো কিছুটা বাড়ানো হতে পারে।
আবেদন যোগ্যতা:
ভারত সরকারের ন্যাশনাল স্কলারশিপ এর মাধ্যমে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা তাদের উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করতে চায় তাদের আবেদন প্রক্রিয়া অংশগ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা বাধ্যতামূলক নয়।
১. আবেদনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের অবশ্যই কোন ভারতীয় নাগরিক হতে হবে এবং পরিচয়পত্র হিসেবে যাবতীয় নথিপত্র থাকতে হবে।
২. আবেদন কারির স্বীকৃত যেকোনও স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে নিয়মিত পাঠদান করতে হবে।
৩. স্কলারশিপে আবেদনের জন্য আবেদনকারী চাকরি প্রার্থীদের পূর্বের ক্লাসে ন্যূনতম পঞ্চাশ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।
৪. পরিবারের বার্ষিক আয়ের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই বীমা এক লক্ষ অথবা দের লক্ষ হতে হবে।
৬. উক্ত স্কলারশিপে জেনারেল চাকরি প্রার্থীর পাশাপাশি, SC, ST, OBC চাকরিপ্রার্থী সকলেই আবেদন জানাতে পারবে।
আবেদন পদ্ধতি:
ন্যাশনাল স্কলারশিপ আবেদনের জন্য চাকরিপ্রার্থীকে সর্বপ্রথম এর অফিশিয়াল পোর্টালে (scholarships.gov.in) যেতে হবে। এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে একটি বৈধ মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল আইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে নিতে হবে। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ হলে সে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে পুনরায় লগইন করে আবেদন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ জানাতে পারবে। আবেদন প্রক্রিয়ায় চলাকালীন চাকরি প্রার্থীর যাবতীয় নথিপত্র প্রদান করতে হবে।
আবেদন চলাকালীন আবেদনকারীর বেশ কিছু নথিপত্র স্ক্যান করে আপলোড দিতে হবে। এরপর আবেদনকারীর আবেদনপত্রটি প্রিন্ট আউট বের করে নিজের কাছে জমা রাখতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া অংশগ্রহণের জন্য চাকরিপ্রার্থীদের আবশ্যিক নথিপত্র গুলি হল- আবেদনকারীর আধার কার্ড,
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস, শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, পরবর্তী ক্লাসে ভর্তির রশিদ, জাতিগত শংসাপত্র যদি থাকে, পরিবারের বার্ষিক আয়ের সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি এবং স্বাক্ষর।
পরিশেষে বলা যায় ভারত সরকার দেশের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই প্রকল্পটি শুরু করেন। বর্তমানে কয়েক লক্ষ ছাত্রছাত্রী প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। আগামী ৩০ শে নভেম্বর পর্যন্ত ন্যাশনাল স্কলার্শিপে আবেদন জানাতে পারবেন। তাই আবেদন প্রক্রিয়া অংশগ্রহণের জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া অংশগ্রহণ করুন।
আরও পড়ুন
ডিসেম্বর মাসে ১৯ দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ ও কর্মীদের ছুটি, দেখুন কোন দিন কি আছে – Bank Employees Holiday December














