Bangla News Dunia, দীনেশ :- প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুড়িয়া বিধানসভার কেন্দা গ্রামের বাসিন্দা মৃত বিনোদ রুইদাস। মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় প্রত্যেক মৃতের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল যোগী সরকার। সেই ক্ষতিপূরণের প্রথম কিস্তির ৫ লক্ষ টাকা পেলেন মৃত বিনোদের পরিবার। আর এর পরেই উঠে গেল হাজারো প্রশ্ন।
আরও পড়ুন : ভোটার কার্ডে Adhaar লিংক সবাইকে আবার করতে হবে ! জানুন কবে থেকে
জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে যোগী সরকারের চার প্রতিনিধি আসেন আসানসোলের জামুড়িয়া বিধানসভার কেন্দা গ্রামের বাসিন্দা মৃত বিনোদ রুইদাসের বাড়িতে। প্রতিনিধি দলে তিনজন ছিলেন পুলিশের পোশাকে। আর একজন সাদা পোশাকে ছিলেন বলে জানিয়েছেন বিনোদ রুইদাসের পরিবারের সদস্যরা। সেখানে কোনও রকম কাগজ পত্র ছাড়াই তাঁরা নগদ ৫ লক্ষ টাকা তুলে দেন পরিবারের হাতে। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা না দিয়ে কেন নগদে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যেখানে সরকারি অর্থ বা ক্ষতি পূরণের টাকা রীতিমতো অনুষ্ঠানের মতো করে, সংবাদ মাধ্যমের সামনে ফলাও করে দেওয়া হয়ে থাকে, এক্ষেত্রে কেন গোপনে এই টাকা দেওয়া হল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের লোকেরা।
আরও পড়ুন : চলতি মাসে চারদিন ব্যাঙ্ক বন্ধ ! জানুন কোন কোন দিন গুলি ?
মৃত বিনোদ রুইদাসের স্ত্রী শর্মিলা রুইদাস বলেন, ‘ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু আমাদের ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে গেলেন চারজন। বাকি টাকা আরও চার কিস্তিতে করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।’ তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষতিপূরণের টাকা একবারেই দেওয়া হোক বা কিস্তিতে দেওয়া হোক, তা নগদে কেন দেওয়া হল বুঝতে পারছি না। আমরা তো জানি সরকারি টাকা চেক বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়। আমরা বুঝব কি করে যে এই টাকা আমাদেরকে উত্তরপ্রদেশ সরকার থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হল? কি করবো বুঝতে পারছি না।’
আরও পড়ুন : মাসে ৭০০০ টাকা দিচ্ছে সরকার, নতুন প্রকল্পে এক্ষুনি আবেদন করুন