Bangla News Dunia, Pallab : ‘শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসররা যে অপরাধ বাংলাদেশে করেছেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীও এত জঘন্য অপরাধ করেনি।’ চাঞ্চল্যকর দাবি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের। মঙ্গলবার ঢাকায় জুলাই আন্দোলন সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলা, আহতদের গুলি করে মারা, নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে মেরে ফেলা… অবশ্যই হয়েছে, ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ওটা তো অন্য দেশের বাহিনী ছিল। আমরা তারপর স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলাম।’ পাকসেনার হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে আইন উপদেষ্টার মন্তব্য, ‘১৯৭১ সালে মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলেছে, এরকম কোনও ফুটেজ আমি দেখিনি। ১৯৭১ সালে একজন গুলি খেয়েছেন, তাঁকে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর বন্ধু, সেই অবস্থায় তাঁকে গুলি করেছে। কোনও মুক্তিযোদ্ধার এমন বর্ণনা আমি পড়িনি বা ফুটেজ দেখিনি। অন্যরকম নৃশংসতা হয়ে থাকতে পারে, কিন্তু এরকম নৃশংসতা করেনি।’
আরও পড়ুন : পেনশন না থাকলেও দুশ্চিন্তা নেই, LIC-এর এই ৪ স্কিম নিশ্চিত করবে অবসর জীবন
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে মৌলবাদী সংগঠনগুলির সক্রিয়তা দ্রুত বাড়ছে। সংখ্যালঘু ও মহিলাদের ওপর হামলার একের পর এক ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশে ইসলামি শাসন জারির দাবিও উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে আশিফ নজরুলের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা বাংলাদেশে নতুন নয়। ৫ অগাস্টের পর থেকে এই উদ্যোগ ক্রমাগত শক্তিশালী হচ্ছে। একই সঙ্গে ’৭১-এ বাংলাদেশে গণহত্যা, ধর্ষণে দায়ী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দোষ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাও চলছে। মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের একাংশ যে মৌলবাদীদের সেই কৌশলের শরিক, আইন উপদেষ্টার মন্তব্য থেকে সেটা স্পষ্ট।