
32000 Primary Teacher: ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলা এবার সুপ্রিম কোর্টের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের চূড়ান্ত রায় ঘোষণার পরই আইনি লড়াইয়ের পরবর্তী ধাপ হিসেবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে একাধিক ক্যাভিয়েট (Caveat) দাখিল করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহার্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পক্ষ থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য হলো, সুপ্রিম কোর্টে যদি এই মামলাটি চ্যালেঞ্জ করা হয়, তবে যেন একতরফা কোনো নির্দেশ জারি না হয়।
ক্যাভিয়েট দাখিলের বিস্তারিত তথ্য
সুপ্রিম কোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, এই মামলায় মোট তিনটি ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়েছে। পর্ষদ এবং শিক্ষকদের পক্ষ থেকে দাখিল করা এই ক্যাভিয়েটগুলির বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো:
| ক্যাভিয়েট দাখিলকারী | মামলার পক্ষ ও আইনজীবী | নম্বর ও তারিখ (সূত্রানুযায়ী) |
|---|---|---|
| প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ | পক্ষ: পর্ষদ বনাম প্রিয়াঙ্কা নস্কর আইনজীবী: কুণাল চ্যাটার্জি |
নম্বর: ১৯৮৯৬/২০২৫ তারিখ: ৫ই ডিসেম্বর ২০২৫ |
| চাকরিহার্য শিক্ষকবৃন্দ (১) | পক্ষ: তুহিন কুমার হালদার বনাম প্রিয়াঙ্কা নস্কর আইনজীবী: প্রীতিকা দ্বিবেদী |
নম্বর: ১৯৮৩৫/২০২৫ তারিখ: ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৫ |
| চাকরিহার্য শিক্ষকবৃন্দ (২) | পক্ষ: তুহিন কুমার হালদার বনাম পর্ষদ আইনজীবী: প্রীতিকা দ্বিবেদী |
নম্বর: ১৯৮৯৬/২০২৫ তারিখ: ৫ই ডিসেম্বর ২০২৫ |
কেন এই ক্যাভিয়েট দাখিল?
হাইকোর্টের রায়ের পর কোনো পক্ষ যদি সেই রায়ে অসন্তুষ্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে, তবে ক্যাভিয়েট দাখিল করা থাকলে আদালত একতরফা কোনো রায় (Ex-parte Judgment) দিতে পারে না। এর সুনির্দিষ্ট কিছু আইনি সুবিধা রয়েছে:
- শুনানির নিশ্চয়তা: যদি মূল মামলাকারী অর্থাৎ প্রিয়াঙ্কা নস্কর গ্রুপ বা অন্য কেউ সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে, তবে আদালত ক্যাভিয়েট দাখিলকারীদের বক্তব্য না শুনে কোনো নির্দেশ দেবে না।
- নোটিশ প্রাপ্তি: মামলা দাখিল হলে আদালত প্রথমে ক্যাভিয়েট দাখিলকারীদের নোটিশ পাঠাবে।
- একতরফা স্থগিতাদেশ রোধ: বিপক্ষকে অন্ধকারে রেখে সরাসরি কোনো স্থগিতাদেশ বা কনক্লুশনে আদালত পৌঁছাবে না।
বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ
খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল রিট পিটিশনার বা তরুণজ্যোতি তিওয়ারির পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি চ্যালেঞ্জ করার চিন্তাভাবনা চলছে। তবে যেহেতু পর্ষদ এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়েছে, তাই মামলা হলে উভয় পক্ষের যুক্তি-তর্ক শুনেই সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে। এই পদক্ষেপের ফলে একতরফা কোনো নির্দেশে চাকরিহার্যদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে গেল।
Follow Us














