Bangla News Dunia, Pallab : রাজ্যবাসীর জন্য দারুন সুখবর, বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ৫০ হাজারের কাছাকাছি শূন্য পদে কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই যে সমস্ত ব্যক্তিরা ব্যবসা করবেন বলে ভাবছেন অথচ কি ব্যবসা করবেন? এত টাকা কোথায় পাবেন? এই ভেবে এগোতে পারছেন না তারা এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এছাড়া প্রশিক্ষণ শেষে ব্যবসা শুরু করার আর্থিক অনুদানও পেতে পারেন। এখানে প্রায় প্রায় পঞ্চাশ হাজার কর্মীদের এই ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ কারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। তাই যে সকল চাকরি প্রার্থীরা কি ব্যবসা করবেন ভেবে পাচ্ছেন না তারা রাজ্য সরকারের এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে পারেন।
আরও পড়ুন : ভারতে চালু ৪ টি সরকারি কার্ড, না করলে বিপদে পড়বেন
নিম্নে প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আলোচনা করা হলো। আগ্রহী প্রার্থীরা প্রতিবেদনটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত দেখে আবেদন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুন।
মৎস চাষের প্রশিক্ষণ:
বাঙালির প্রধান খাদ্য মাছ ভাত, তাই সপ্তাহে অন্তত চার থেকে পাঁচ দিন মাছ ভাতের আয়োজন হয়ে থাকে। এই বিপুলসংখ্যক মাছের চাহিদা মেটাতে অনেক সময় অন্যান্য রাজ্যের থেকে মাছ আমদানি করতে হয়। যদিও বর্তমানে মৎস্য উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। তারপরেও প্রশিক্ষণের অভাবে মৎস্য চাষীদের নানান সমস্যায় পড়তে হয়। তাই রাজ্য সরকার বছরে প্রায় ৫০,০০০ মাছ চাষিদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এর ফলে একদিকে যেমন মৎসচাষ ও চাষিদের আয় বাড়বে তেমনি এই ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানও বাড়বে।
আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে গুরুর মর্যাদা দিলেন এই দেশের প্রধানমন্ত্রী, একনজরে দেখে নিন
২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে ভারতের সবচেয়ে এবিসি মাছ উৎপাদন হয় পশ্চিমবঙ্গেই। তবে এবার আর দ্বিতীয় নয়, লক্ষ দেশের মধ্যে মৎস্য উৎপাদনে প্রথম হাওয়া। আর তার জন্যই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন রাজ্য সরকার। এছাড়াও প্রশিক্ষণ শেষে কেউ নিজস্ব পুকুরে অথবা অন্যের পুকুর ভাড়া নিয়ে মাছের চাষ শুরু করে অনায়াসে প্রতিমাসে ১৫০০০ টাকা থেকে ১৮০০০ টাকা উপার্জন করতে পারবে। ফলে একদিকে যেমন নতুন আয়ের পথ খুলবে তেমনি রাজ্যের বহু বেকারত্বের সমস্যারও সমাধান হবে।
৫০ হাজার যুবক যুবতীদের প্রশিক্ষণ:
রাজ্য সরকারের তরফে বেকার যুবক-যুবতীদের মৎস্য প্রশিক্ষণের যে ব্যবস্থা করা হয়েছে এখানে চলতি বছরে প্রায় ৫০ হাজার যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মৎস সম্প্রসারণ আধিকারিক সন্দীপ ভৌমিকের বলেছেন গত বছরে প্রায় ২০,০০০ যুবক যুবতীদের এই ধরণের মৎস্য চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। তবে রাজ্য সরকারের বিশেষ নির্দেশে এবার এই সংখ্যাটাই বাড়িয়ে ৫০,০০০ করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে অতিরিক্ত আরো কয়েক হাজার যুবক যুবতীরা মৎস্য চাষের প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। এর ফলে রাজ্যে বেকারত্ব সমস্যা কিছুটা হলেও লাঘব হবে।