সুন্দর পিচাই : তার প্লেইন-র টিকিট কাটতে তার বাবার পুরো বছরের মাইনে খরচ হয়ে গিয়েছিলো

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia, সমরেশ দাস :- সুন্দর পিচাই, নামটা তা শুনলেই একটি লোকের মুখ ভেসে ওঠে লম্বা , ছিপছিপে , চোখে চশমা , বুদ্ধিদীপ্ত নজর , তুখড় টেকনোলজি সম্বন্ধে জ্ঞান ।  সঙ্গে আরেকটা বিষয়ে মনটা গর্বে ভোরে ওঠে তিনি ভারতীয় বলে ।

কিন্তু এই সুন্দর পিচাই কিন্তু একদিনে হয়ে যাননি পৃথিবীর সবথেকে বিখ্যাত টেকনোলজি কোম্পানির সিইও । তাকে যথেষ্ট কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে , শুধু পড়াশোনা আর পড়াশোনা।

সম্প্রতি ইউটিউব-এ “Dear Class of 2020” বলে একটি অনুষ্ঠান হচ্ছে যেখানে বিশ্বের সমস্ত নামকরা মানুষেরা সদ্য স্নাতক হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের উদেশ্যে তাদের কিছু মূল্যবান কিছু কথা বলে থাকেন ।

রবিবার সুন্দর পিচাই সদ্য স্নাতক হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের বললেন, ‘প্রযুক্তির কিছু বিষয় তোমাদের অবসাদগ্রস্থ করতে পারে ও অধৈর্য করে তুলতে পারে৷ ধৈর্য হারিও না ৷ প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটবে৷ এমন কিছু তৈরি হবে, যা আমার প্রজন্ম স্বপ্নেও ভাবেনি ৷ জলবায়ু পরিবর্তন বা শিক্ষা নিয়ে আমার প্রজন্মের চিন্তা ভাবনা, পরিকল্পনায় হয়তো তোমরা বিরক্ত৷ তবু বলব, ধৈর্য ধরো৷ এমন অগ্রগতি ঘটবে, যা বিশ্বের খুব প্রয়োজন ৷’

তাঁর কথায়, ‘আমেরিকা যাওয়ার জন্য আমার প্লেনের টিকিট কাটতে বাবা প্রায় তাঁর গোটা বছরের বেতন খরচ করেছিলেন ৷ যাতে আমি স্ট্যান্ডফোর্ডে পড়তে পারি ৷ ওটাই ছিল আমার প্রথম প্লেনে চড়ার অভিজ্ঞতা৷ আমেরিকায় খরচ বেশি ছিল ৷ বাড়িতে একটা ফোন করতে ১ মিনিটে ২ ডলারের বেশি খরচ হয়ে যেত৷ একটা ব্যাকপ্যাক (পিঠের ব্যাগ) যা দাম ছিল, তত টাকা আমার বাবার মাসে বেতন ছিল ৷ যখন আমার বিমান ক্যালিফোর্নিয়ার মাটি ছুঁল, তখন আমি কিছুই জানি না, সামনে কী কী পরিবর্তন হতে চলেছে আমার জীবনে৷ ভাগ্য ছাড়া আমার সঙ্গী ছিল প্রযুক্তির প্রতি অসীম ভালোবাসা ও খোলা মন ৷’

Highlights

১. সুন্দর পিচাই, নামটা তা শুনলেই একটি লোকের মুখ ভেসে ওঠে লম্বা , ছিপছিপে , চোখে চশমা , বুদ্ধিদীপ্ত নজর , তুখড় টেকনোলজি সম্বন্ধে জ্ঞান

২. রবিবার সুন্দর পিচাই সদ্য স্নাতক হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের বললেন তার প্লেইন-র টিকিট কাটতে তার বাবার পুরো বছরের মাইনে খরচ হয়ে গিয়েছিলো 

#Sundar Pichai   #Dear Class of 2020  #Google CEO

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন