অজ্ঞাত ভয়েই ঝিমিয়ে রফতানি , বাড়াচ্ছে উদ্বেগ

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী :- অজ্ঞাত ভয়েই ঝিমিয়ে রফতানি। দীর্ঘ জটিলতা কাটিয়ে রবিবার দুপুর থেকে শুরু হয়েছিল পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে পণ্য রফতানি। কিন্তু দেখা গেল, রবি-সোম দু’দিনে সীমান্ত পেরিয়েছে মাত্র ৩৮টি ট্রাক। বন্দর সূত্রে খবর, পড়শি মুলুকে পণ্য পৌঁছে ফিরে আসলেই ১৪ দিন নিভৃতবাসে থাকতে হবে— এই নিয়মের ভয়েই ট্রাক চালকেরা কাজে যোগ দিতে চাইছেন না। ফলে এত দিন বাদে রফতানি চালু হলেও তা এখনও বেশ ঝিমিয়েই।

ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার পেট্রাপোলের ম্যানেজার শুভজিৎ মণ্ডল বলেন, ট্রাক চালকেরা বাংলাদেশে যেতে চাইছেন না। সোমবার পর্যন্ত মাত্র ১৭ জন চালকের নাম রয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, চালকেরা প্রশাসনকেও চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন বাংলাদেশ যেতে না-চাওয়ার কথা। পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ২৪টি, সোমবার ১৪টি আর মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩৮টি ট্রাক পণ্য নিয়ে পেট্রাপোল থেকে বেনাপোলে গিয়েছে।

অথচ করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনেও দিনে ২৫০-৩০০টি ট্রাক চলাচল করতে পারে বন্দর দিয়ে। স্বাভাবিক দিনে প্রায় ৫০০-৫৫০টি। তবে সংগঠনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, মঙ্গলবার ৩৭ জন ট্রাক চালকের নামের তালিকা বন্দর কর্তৃপক্ষকে দিয়েছি। পণ্য রফতানির গতি বাড়বে। আমদানি এখনও শুরু করা যায়নি। তবে এমন যে হতে পারে, এই আশঙ্কা ছিলই। যে কারণে শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে রফতানি সংস্থাগুলির সংগঠন ফিয়ো-র আর্জি ছিল, লকডাউনে ব্যবসা এমনিতেই বিপর্যস্ত।

এই অবস্থায় বাংলাদেশে পণ্য নামিয়ে ফেরত ভারতীয় ট্রাক চালকদের ১৪ দিন কোয়রান্টিনে পাঠানোর নির্দেশিকা বদলানো হোক। বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রশাসক শঙ্কর আঢ্য বলেন, চালকের সংখ্যা বাড়াতে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি। বাংলাদেশের বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনও বলেছে, দু’দেশেরই ক্ষতি হচ্ছে। দিনে ৫০০-৭০০টির বদলে ১০-২০টি ট্রাক গেলে লাভ কী?

Highlights

1. অজ্ঞাত ভয়েই ঝিমিয়ে রফতানি

2. ফলে এত দিন বাদে রফতানি চালু হলেও তা এখনও বেশ ঝিমিয়েই

# Export # India

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন