Bangla News Dunia , অমিত : ভোটের মুখে জোরকদমে প্রচারে যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। গতকাল প্রচারের মাঝে নিজের দোকানের ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে সায়নী ঘোষকে শুভেচ্ছা জানালেন এক ফুল বিক্রেতা। এদিন ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটপ্রচারে নামেন সায়নী। অন্যদিকে সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের হরিনাভির অলিগলিতে বুধবার সকালে প্রচার করছিলেন যাদবপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষ। তিনি স্থানীয় মানুষের সাথে কথা বলছেন যাতে তারা তাকে ভোট দেয়।
তবে পিছিয়ে নেই বিজেপির প্রার্থী ডক্টর অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ও। তিনিও গতকাল জনসংযোগ যাত্রা করেন। সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি জনসংযোগ করলেন। নবগ্রামে লোকনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে, ভোটের প্রচার শুরু করেন তিনি। সঙ্গে “জয় শ্রীরাম” ধ্বনিতে মুখরিত হল এলাকা, সঙ্গে প্রার্থীকে জেতানোর স্লোগান – “এবার যাদবপুর লোকসভা নির্বাচনের ভোটে জিতবে কে বিজেপি আবার কে”। প্রার্থী হাত জড়ো করে মানুষের ভোট প্রার্থনা করলেন । কারো সাথে বুকে জড়িয়ে আবার কারো সাথে হাতে হাত মিলিয়ে অভিনন্দন গ্রহণ করলেন প্রার্থী। তবে স্থানীয় মানুষের মধ্যে পার্থীকে দেখার জন্য তার সাথে কথা বলার জন্য উৎসাহ দেখা গেল। কাতারে কাতারে মানুষ নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে ডক্টর অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাথে হাত মেলালেন, কথা বললেন ও জেতার জন্য আশীর্বাদ করলেন।
তবে যাদবপুরের বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় মানুষের মতামত এবার ওই কেন্দ্রে তৃণমুল কিছুটা পিছিয়ে থাকতে পারে। তার কারণ একদিকে বিজেপি যেমন স্বছ ভাবমূর্তির মানুষ ডক্টর অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে দাঁড় করিয়েছে ঠিক তেমনই হিন্দু দেবতাদের নিয়ে কুমন্তব্য করা সায়নীকে ওই কেন্দ্রে দাঁড় করিয়ে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে তৃণমুল। ফলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন, সামান্য কিছু মার্জিনের হের ফেরেই এই কেন্দ্রে তৃণমুল ও বিজেপির জয় নিশ্চিত হতে পারে। তবে হাতে সময় রয়েছে , আগামী দিনে যেকোনো মুহূর্তে ভোটারদের মন বদলাতে পারে। আর তাতে বড় ভূমিকা নিতে পারে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাংলার জনসভা।