Bangla News Dunia , অমিত : – সংক্ষেপে দেখুন যাদবপুর কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায় মিডিয়ার সামনে ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকার নিয়ে (Personal Property Rights) বিরোধীদের নতুন নীতির বিরুদ্ধে কি কি বললেন। এরই সাথে বাংলার উন্নয়নে কেন্দ্রের অনুদানের পরিসংখ্যান মিডিয়ার সামনে তিনি তুলে ধরলেন। কারণ হিসাবে তিনি বলেন মমতা সরকার কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না বলে মিথ্যে প্রচার করে বলেই এই পরিসংখ্যান তুলে ধরতে হল।
কংগ্রেস 60 দশক দেশকে তোষণের রাজনীতিকে হাতিয়ার করে জেতার পর বিজেপি কংগ্রেসের এই নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে ক্ষমতায় এসেছে। ২০১৪ সালের প্রধানমন্ত্রীর শ্রী নরেন্দ্র মোদি বিকাশের বার্তায় জয়লাভ করেন যার পর থেকে কংগ্রেস লাগাতার পরাজিত হচ্ছে। কংগ্রেস সেই তোষণের নীতিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। কংগ্রেস এবং তার জোট এবার আপনার আর্থিক সঞ্চয়ে হাত লাগাবে। আপনার যা সম্পত্তি আপনার বাড়ি আপনার অর্থ সবকিছুই কংগ্রেস নজরে রাখবে। আপনার সম্পত্তিতে কবজা করে কংগ্রেস সেটা বিলিয়ে দেবে। আমাদের মা-বোনেদের কাছে পবিত্র সোনা কিংবা মঙ্গলসূত্র যা আছে, কংগ্রেস সব নিয়ে নেবে।
এই পরিবার বাদী দল দেশের সম্পত্তি লুট করে নিজেদের সাম্রাজ্য বানিয়েছে এবং এখন ভাবছে যে আপনার সম্পত্তি ওদের জন্মসিদ্ধ অধিকার।।চাকরি করা ব্যক্তিদের নিজেদের সন্তানের ভবিষ্যৎ লুকিয়ে আছে তাদের ফিক্স ডিপোজিটে। কংগ্রেস সেটার উপর নজর রেখে সার্ভে করাবে এবং কব্জা করে নেবে। কংগ্রেস আপনার পৈতৃক সম্পত্তি এবং বাড়িঘর যা আছে মাওবাদীদের এবং কমিউনিস্টদের মতো সবকিছু নিয়ে নেবে। এই কথাগুলি কংগ্রেসের সংকল্প পত্রে লেখা আছে।
কংগ্রেস নিজেদের ম্যানিফেস্টোতে এটাও বলেছে যে এই দেশে বহু সংখ্যকদের কোন জায়গা নেই। কংগ্রেস বলেছে যে, দেশের সংখ্যালঘুদের শিক্ষা স্বাস্থ্য রোজগার এবং তাদের সংস্কৃতিক বিকাশের জন্য বহু সংখ্যকদের সম্পত্তি নিয়ে নেওয়া হবে। Sc st obc দের দেওয়া রিজার্ভেশন ৫০ শতাংশের বেশি সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া হবে। ৫ ই এপ্রিল রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের ঘোষণাপত্র সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করার সময় বলে, উনি নাকি দেশের এক্সরে করে দেবেন এবং বিভিন্ন সংস্থায় কত শতাংশ মানুষ আদপে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সেটি বিশ্লেষণ করে তাদের চাকরি দেবে।
রাহুল গান্ধী মহারাষ্ট্রের একটি সভা করে ১৬ ই মার্চ ঘোষণা করেন যে সকল সংস্থার সম্পত্তি এবং আর্থিক পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করা হবে। এরপর ছয়ই এপ্রিল ভেলেঙ্গানার একটি মিছিল থেকে কংগ্রেস বলে যে জনগণনার ভিত্তিতে চাকরি এবং অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে যার অর্থ হলো যাদের বেশি বাচ্চা তারা বেশি সুবিধা পাবে। এমনটা নয় যে কংগ্রেসের আগে এই কাজ করেনি। ১৯৬০ এবং ১৯৭০ দশকে কংগ্রেস আইন পাস করে যার মাধ্যমে আপনাদের সঞ্চিত অর্থের একটি অংশ সরকারের কাছে চলে যায়।
রাহুল গান্ধী জাতি গণনার মাধ্যমে আবাস যোজনার বাড়িগুলিকে একটি বিশেষ ধর্মের ব্যক্তিদের দিয়ে দিতে চায়। রাহুল গান্ধী এটাও চায় যে যেই সংস্থাগুলি ধর্মের ভিত্তিতে চাকরি দেবে না তাদের দণ্ডিত করা হবে। রাহুল গান্ধী একটি সীমার উপরে আয় করা সমস্ত ব্যক্তির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চায়। কংগ্রেস এবং তাদের জোট চায় যে মনমোহন সিং আগে যা বলেছিলেন সেটাই বাস্তবায়িত করা হবে। এর অর্থ হলো সিডিউল কাস্টের লিস্ট এর ভেতর মুসলমানদের রিজার্ভেশন দেওয়া হবে। মুসলমানদের চাকরিতে ১৫ শতাংশ রিজার্ভেশন দেওয়া হবে। ওবিসি রিজার্ভেশনের অন্তর্গত ৬ শতাংশ মুসলমানকে চাকরি দেওয়া হবে। ধর্ম পরিবর্তন করলেও তাদেরকে এসসিএসটি সুরক্ষা দেওয়া হবে।
২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে দিল্লিতে কংগ্রেস নেতা রসুনাথ মিশ্র একটি রিপোর্ট পেশ করেন যেখানে তিনি বলেন যে মুসলমানদের এসসিএসটির অন্তর্গত যেন রিজার্ভেশন দেওয়া হয়। এমন কি এটাও বলা হয় যে যারা ধর্ম পরিবর্তন করবে এবং মুসলমান হবে তাদেরকে ১৫ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হবে এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের মধ্যে মুসলমানদের ৬ শতাংশ সংরক্ষণ দেয়া হবে। এছাড়াও মনমোহন সিং ঠিক এক মাস পরে একটি রিপোর্ট পেশ করেন যেখানে বলা হয় যে মুসলমানদের অবস্থা নাকি দেশের দলিতদের থেকেও খারাপ।।
এছাড়া কংগ্রেস এটাই মনে করে যে মুসলমানদের দেশের সম্পত্তির ওপর প্রথম অধিকার এবং তারা চায় যে দলিত এবং মহিলাদের যা সম্পত্তি রয়েছে তা সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া হোক। কর্ণাটকে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধরামাইয়া একমাস পূর্বে তার একটি ভার্সনে বলেন যে মুসলমানদের রয়েছে এই দেশের সম্পত্তির উপর অধিকার এবং কংগ্রেস সুনিশ্চিত করবে যেন তারা সেটা যাতে পায়।
তিনি কেন্দ্র সরকারের তরফে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বাংলার উন্নয়নে কি কি আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে তার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তিনি বলেন প্রায় ২০০০ কোটি টাকা গ্রাম বাংলার স্বচ্ছ ভারত অভিযানের জন্য কেন্দ্র সরকার পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দিয়েছে। এছাড়া তিনি বলেন, বাংলায় প্রায় 14 লক্ষ সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা অ্যাকাউন্ট কার্যকরী হয়েছে। তিনি বলেন যে, এই একাউন্ট গুলির মাধ্যমে যাতে বাংলার প্রায় 14 লক্ষ কন্যার পোষণ, শিক্ষা ও সার্বিক উন্নয়ন হয় তার জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার এই অর্থ দিয়েছে।
এরই সাথে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা শহর এলাকার জন্য কেন্দ্র সরকার প্রায় চার লক্ষ কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দিয়েছে। এরই সাথে তিনি বলেন, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে কোন উন্নতমানের মেডিকেল কলেজ নেই। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের গ্রামীণ এলাকায় মানুষের চিকিৎসার তেমন কোন উন্নত ব্যবস্থা নেই, তাই একটি মেডিকেল কলেজ খোলার প্রতিশ্রুতি তিনি দেন।
তিনি আরো বলেন, তৃণমূল সরকার বারবার রাজ্যের মানুষকে বোঝাচ্ছে যে টাকা আটকে রেখে দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রের তরফে। কেন্দ্র সরকার রাজ্য সরকারকে টাকা দিচ্ছে না। কিন্তু এখানে সত্যটা অন্যরকম, সত্যটা হলো যে গত পাঁচ বছরে কেন্দ্র সরকার 5 লক্ষ হাজার কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দিয়েছে, তার মধ্যে থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা ফুড সাবসিটি দিয়েছে, ফার্টিলাইজার সাবসিটি দেয়া হয়েছে 19 হাজার কোটি টাকা। শুধুমাত্র গ্রামের উন্নয়নের জন্য ৯৩ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ।