Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী :- কিছু দিন যাবৎ ভারত-চিন সীমান্তে উত্তপ্ত হচ্ছিল সীমান্ত পরিস্থিতি। মঙ্গলবার রাতে ২০জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। কাঁটা লাগানো লোহার রড দিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ভারতীয় সেনাবাহিনীর আহত জওয়ানদের। মঙ্গলবার রাত থেকেই লাদাখের গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় ভারত চিন সংঘাত চরমে পৌঁছয়। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও।
চিনেরও ৪৩ জন সেনা ভারতের পাল্টা জবাবে নিহত এবং আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে সংবাদসংস্থা এএনআই। শহিদের এই বলিদান ভোলা হবে না, জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই সবের ফলে দুই দেশের মধ্যে তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, যুদ্ধ শুরু হলে ক্ষমতা ও শক্তির নিরিখে কোন দেশকে এগিয়ে রাখা যাবে।
সামরিক ক্ষমতার নিরিখে –
১. চিনের ২৭০টি ফাইটার জেট রয়েছে। ভারতের মাটিতে হামলা চালানোর জন্য ৬৮টি এয়ারক্রাফট রয়েছে।
২. বেলফার রিপোর্টে প্রকাশিত খবর যে, চিনা সীমান্তে ভারতীয় এয়ারবেসের সংখ্যা বহু। যার থেকে সহজেই আক্রমণ চালানো যাবে৷
৩. চিনা বায়ুসেনার ৮টি এয়ারবেস রয়েছে সীমান্তে। কিন্তু এগুলি মূলত অসামরিক এয়ারফিল্ডে অবস্থিত। সেখান থেকে হামলা চালানো কিছুটা মুশকিল।
৪. তিব্বত ও জিয়াংয়ং এয়ারবেস অনেকটা উঁচুতে। খারাপ আবহাওয়ার জন্য চিনা বিমান বেশি অস্ত্র নিয়ে উড়তে সক্ষম নয়।
৫. বেলফার রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, ভারতের মিরাজ ২০০০ বা সুখৈ ৩০ সব সময়, সব আবহাওয়ায় উড়তে সক্ষম। কিন্তু চিনের জেট জে ১০ সেটা পারে না।
সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে ভারত অনেকটা এগিয়ে। অন্যদিকে কাশ্মীরে প্রতিনিয়ত পাক সেনার বিরুদ্ধে লড়ে চলেছে ভারতীয় বাহিনী৷ কার্গিলের স্মৃতিও টাটকা। তাই অভিজ্ঞতার দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে ভারত।
এছাড়া তিব্বত ও LAC-তে ভারতের বাহিনীর সংখ্যা প্রায় ২২৫০০০। অন্যদিকে চিনে ক্ষেত্রে সেটা ২০০০০০ থেকে ২৩০০০০। এই সংখ্যাটা খুব সহজে বাড়িয়ে ফেলতে পারে চিন। কিন্তু খারাপ রাস্তার ফলে খুব সহজে চিন এই কাজটা করতে পারবে না। এমনকি অবস্থানগত সুবিধার জন্য তিব্বত সংলগ্ন রেলপথ উড়িয়ে দিতে পারে ভারত, যার ফলে খুবই সমস্যায় পড়তে পারে চিন।
পারমাণু শক্তির নিরিখে –
বিশ্বের কোনও দেশই চায় না একে অপরের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে। তবে জানিয়ে রাখা যাক যে, দুই দেশের হাতেই এই ক্ষমতা রয়েছে। ১৯৬৪-এ পারমাণবিক ক্ষমতাশীল দেশ হয় চিন৷ তবে ভারত সেই ক্ষমতার অধিকরী হয় ১৯৭৪৷ স্টকহোম ইন্টারন্যাশনল পিসের রিপোর্ট অনুযায়ী গত বছর ভারতের হাতে আরও ১০টি পারমাণবিক অস্ত্র এসেছে৷ -চিনের মোট ৩২০ পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, ভারতের ক্ষেত্রে তা ১৫০টি।
এছাড়াও ভারতের সঙ্গে থাকবে ইসরায়েল , আমেরিকা , ফ্রান্স , জাপান , রাশিয়া , ভুটান সহ নানা মিত্র দেশের সাহায্য। সেটা চীনের ক্ষেত্রে পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়াতে সীমিত।
Highlights
1. যুদ্ধ বাঁধলে কার পাল্লা ভারী ?
2. বিশ্বের কোনও দেশই চায় না একে অপরের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে
# LAC # Battle