ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির ‘বলিদান দিবসে’ তাকে শ্রদ্ধা জানালেন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডঃ অনির্বাণ গাঙ্গুলি

By Bangla news dunia Desk

Published on:

Bangla News Dunia , দীনেশ : আজ সারাদিন ধরে রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির ‘বলিদান দিবস’ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বিজেপির একাধিক নেতা নেত্রীরা। কারণ বর্তমানে যেই বিজেপি দল তার প্রতিষ্ঠাতা এই ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী। তিনি নাড়া দিয়েছিলেন – এক বিধান, এক প্রধান ও এক নিশানের। তিনি কাশ্মীরে যে ৩৭০ ধারা জারি করা হয়েছিল কংগ্রেসের তরফে তার বিরোধিতা করেন। তার কারণেই আজ এই পশ্চিমবঙ্গ পাকিস্তানে পরিণত হয়নি। আজ ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় যদি না থাকতেন তাহলে আজ এই পশ্চিমবঙ্গ পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হত আর বর্তমানে বাংলাদেশের অংশ থাকতো।

ভারতের স্বাধীনতার আগে ব্রিটিশদের তরফে বিভাজনের প্রস্তাব দেওয়া হলে, ১৯৪৭ সালের ২০ জুন বঙ্গীয় আইন পরিষদ একটি বৈঠকের আয়োজন করে। যেখানে বাংলা পাকিস্তানের সঙ্গে একত্রীভূত হবে, নাকি ভারতের সঙ্গে একত্রীভূত থাকবে, না বিভক্ত হবে, না হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলা হবে পশ্চিমবঙ্গ এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসাবে বাংলাদেশ ? তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে দীর্ঘ তর্ক-বিতর্ক এবং আলোচনার পর বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করার এবং পশ্চিমবঙ্গের ভিত্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আর এই পশ্চিমবঙ্গ ভারতের সাথে যুক্ত হওয়ার নেপথ্যে যাঁরা ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বে কয়েক মাসের নিরলস প্রচেষ্টা এবং উদ্যোগের পর পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অংশ হিসেবে থাকবে বলে এই সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডঃ মেঘনাদ সাহা, ডঃ রমেশ চন্দ্র মজুমদার, ডঃ সুনীতি কুমার চ্যাটার্জি এবং ডঃ যদুনাথ সরকারের মতো বিশিষ্টরা। ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় সর্বদা ভারতের অখণ্ডতার পক্ষে ছিলেন, তিনি কখনও ভারতের বিভাজনের পক্ষে ছিলেন না। আর ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এর নিরলস প্রচেষ্টা ফল আজকের পশ্চিমবঙ্গ। যার ফলেই বুঝতে পারছেন ভারতের তৎকালীন রাজনীতিতে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের গুরুত্ব ছিল কতটা। আর আজ সেই বিশিষ্ট ব্যাক্তির বলিদান দিবস।

anirban

আর আজ এই বলিদান দিবসে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড: অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার কেওড়াতলা মহাশ্মশানে বলিদান দিবসে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। 24 শে জুন ১৯৫৩ সালে এই মহাশাসনেই তাকে দাহন করা হয়েছিল ।

এরপরে ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এর বলিদান দিবস উপলক্ষে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার দক্ষিণ কলকাতা জেলার উদ্যোগে আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরে ভারত কেশরী ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্মরণে ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় বক্তব্য রাখেন। যেই বক্তব্যে তিনি পশ্চিমবঙ্গের হয়ে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কি কি করেছেন, ভারতের জন্য শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কি কি করেছেন তা তিনি মানুষের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিজেপি সরকার ডঃ ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে সবচেয়ে বড় সম্মান দিয়েছেন, তা হল ৩৭০ ধারা জম্বু-কাশ্মীর থেকে বিলুপ্ত করে। কারণ ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি ৩৭০ ধারার বিরোধিতা করেছিলেন । আর তার অনুপ্রেরণাতেই বিজেপি ৩৭০ ধারার বিপক্ষে গিয়ে সর্বদা লড়াই করেছে, আর যখন বিজেপি নিজের সরকার গড়েছে তখন ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত করেছে।

anirban

এরপর আজ সন্ধ্যায় তিনি যাদবপুর জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে সোনারপুর থানা মোড়ে আয়োজিত ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের এক স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন। সেখানেও তিনি ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বিভিন্ন কাজ মানুষের সামনে তুলে ধরেন। কারণ তিনি ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ৩৭০ ধারার বিরোধিতা করতে গিয়েই মৃত্যুবরণ করেছেন, কারণ তাকে গুপ্তহত্যা করা হয়েছে। কারণ কংগ্রেস সরকার ভয় পেয়ে গিয়েছিল যে, যদি ৩৭০ ধারার বিরোধী এইভাবেই চলতে থাকে তাহলে কংগ্রেস সরকার বিপাকে পড়তে পারে। যার ফলেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কেও গুপ্ত হত্যা করা হয়েছে।

Bangla news dunia Desk

মন্তব্য করুন