Bangla News Dunia , পল্লব চক্রাবর্তী :- লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। আর সেই কারণেই ফের লকডাউন কড়া করার পথে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, কলকাতা, বারাসত-সহ একাধিক এলাকায় ফের লকডাউনে কড়াকড়ি হবে। করোনা ভাইরাসের দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত।
নবান্ন সূত্রে খবর, কলকাতার মোট ১৯টি রাস্তাকে পুরনো কনটেনমেন্ট জোনের আকারে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এর মধ্যে সাতটি ওয়ার্ডে দুটি করে এমন রাস্তা আছে, যা পুরনো হটস্পট আইন মেনে সিল করে দেওয়া হচ্ছে। ওয়ার্ডগুলি হল ৭, ১৩, ৩১, ৭৪, ৯৪। এছাড়াও ভবানীপুরের ৭০ ও দেশপ্রিয় পার্কের লাগোয়া ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডে তিনটি করে রাস্তাকে পুরনো লক ডাউনের নিয়মে সিল করা হচ্ছে। বরো হিসাবে ১, ৩, ৮, ৯ ও ১০ নম্বরে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেশি। তাই বিশেষ নজর দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৮১ জন। এর মধ্যে মাত্র ৩৭ জন বসতিবাসী। বাকি ২৪৪ জনই ফ্ল্যাট এবং বহুতল ও পাকা বাড়ির বাসিন্দা। পুরসভার তথ্য, গত দশদিনে মহানগরে নতুন আক্রান্তদের ৪০ শতাংশ ফ্ল্যাট বাড়ি, ৪৫ শতাংশ পাকাবাড়ি এবং মাত্র ১৫ শতাংশ বসতি এলাকার বাসিন্দা। সেই কারণেই করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়তো শিথিল লকডাউন কড়া করার ভাবনা।
কলকাতার ছবিটা তুলে ধরে পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, নবান্ন হটস্পট আইন বলবৎ করার পথে হাঁটতে পারে। যদিও সংক্রমণ রুখতে কলকাতায় কড়া পদক্ষেপ বলতে নির্দিষ্ট এরিয়া সিল না আগের মত সার্বিক লকডাউন তা স্পষ্ট করেননি পুরমন্ত্রী। সাউথ সিটি, ডায়মন্ড সিটির মতো শহরের নামী বহুতল আবাসনেও এখন ব্যাপক হারে করোনার দাপট চলছে। যোধপুর পার্ক, ভবানীপুর, আলিপুর, টালিগঞ্জ, বালিগঞ্জ এলাকায় বেশি দাপট করোনার।
এদিকে কড়া লকডাউনের পথে হাঁটতে চলেছে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসতও। মঙ্গলবার থেকে চায়ের দোকান ও খাবারের স্টল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা পুলিশ। আনলক ওয়ান শুরু হতেই রাস্তার মোড়ে, চায়ের দোকানে আড্ডা বসতে শুরু করেছে। অধিকাংশ দোকানে না কারও মুখে মাস্ক দেখা যাচ্ছে, না আছে কোনও সামাজিক দূরত্বের লেশমাত্র। তাই মঙ্গলবার থেকে চা, পান, বিড়ি, সিগারেট-সহ সব দোকান বন্ধ রাখা নির্দেশ দেওয়া হল। একইসঙ্গে ফুটপাথের উপর সব খাবারের স্টলগুলিও বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল পুলিশ।
Highlights
1. লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ
2. করোনা ভাইরাসের দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত
#Corona #Lockdown