Bangla News Dunia , সুমি :- নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ফাঁক খুঁজে যে কোনভাবেই হোক জেল-এর ভেতরে পাচার করতে হবে জিনিসগুলো। হেভিওয়েট কয়েদিদের হাতে পৌঁছানো চাই সেলফোন। সঙ্গে চাই কিছু এন্টারটেনমেন্টের বন্দোবস্তও– তাই ড্রাগের সরবরাহ-ও দরকার যে কোন মূল্যে। কিন্তু যেখানে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে মাছি গলার-ও উপায় নেই, সেখানে এসব পৌঁছবে কীভাবে?সে রাস্তা আছে। আর কিছু ঢুকতে পারুক বা না পারুক, একটা ‘জিনিস’ জেলের ভেতরে ঢুকতে পারেই সব সময়– মানুষ! মানুষের দেহকেই যদি গোপন জিনিসপত্র পাচারের মাধ্যম করে তোলা যায়, তবেই কেল্লা ফতে। এই জিনিস নতুন কিছু নয়, বহুকাল ধরেই চলে আসছে। যা নতুন তা হল, এমন এক সার্জনের সন্ধান পাওয়া যিনি কয়েদিদের দেহের ভেতর থেকে এই ধরনের লুকানো জিনিসপত্র বের করতে সিদ্ধহস্ত। বছরের পর বছর এই কাজ করতে করতে, সহকর্মীদের কাছে ‘তিহার স্পেশালিস্ট ডাক্তার’ নামে বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন তিনি– দিল্লির গোবিন্দবল্লভ পন্থ হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডঃ অশোক দালাল।
পুলিশের হাতে ধরা পড়া কয়েদিদের খাদ্যনালীর মধ্যে ক্যামেরা ঢুকিয়ে এন্ডোস্কোপি-র মাধ্যমে শরীরের ভেতরে থাকা পিংপং বলের সাইজের ‘প্যাকেজ’ চিহ্নিত করা এবং প্রয়োজন পড়লে অনায়াস অপারেশনে তা বের করে আনা– ডক্টর দালালের কাছে এসব জলভাত।
রেলওয়ে স্টেশন বা এয়ারপোর্ট থেকে ধরা পড়া অন্যান্য হিউম্যান কুরিয়ার-দের দিল্লির এইমস বা সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, কিন্তু তিহার জেলের যাবতীয় কেসের দায়িত্ব পড়ে ডক্টর দালালের ওপর। তাঁর নিজের কথায়, প্রত্যেক দু-তিন মাসে এরকম কেস তাঁর কাছে আসে। শরীরের মধ্যে ঠিক কোথায় চোরাই প্যাকেট লুকিয়ে আছে তা নির্ধারণ করা শুধু নয়, শরীর থেকে সেটাকে বের করাটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
আরো পড়ুন :- বিরোধীদের জিভ ছিঁড়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি ‘মমতা’র বিধায়কের
তিহার জেল কর্তৃপক্ষ এবং ডাক্তারদের মতে, মানব শরীরকে কুরিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে নানা অবৈধ বস্তু পাচার করার চক্র গত কয়েক বছরে ভয়ঙ্কর ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাহক হিসেবে পুরুষদেরই কাজে লাগানো হয়। যে বস্তুটি পাচার করতে হবে প্রথমে তাকে কনডোম, প্লাস্টিক শিট, কালি এবং টেপ দিয়ে অনেকগুলো আবরণে পুরোপুরি মোড়া হয়।
ব্যাপারটা দেখতে লাগে একটা কম্প্যাক্ট ক্যাপসুল এর মতো, যা সহজেই গিলে ফেলা যায়। কনডোম-এর আস্তরণটা লুব্রিক্যান্ট হিসেবে কাজ করে। মেথাইলিন ব্লু-এর ব্যবহার করা হয় ‘সাইন অফ ওয়ার্নিং’ হিসাবে। মল বা মূত্রের সঙ্গে কালি বেরিয়ে আসা মানেই শরীরের ভেতরে থাকা প্যাকেজের কোনো না কোনোভাবে ড্যামেজ ঘটেছে। তা থেকেই বুঝতে পারা যায় যে বাহকের ডাক্তারি সহায়তার প্রয়োজন।
সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে স্ফিঙ্কটার পেশীর প্রসারণ ও সংকোচন এর মাধ্যমে খাদ্য, মল ও মূত্র শরীরের ভেতর মুভমেন্ট করে। কিন্তু যারা পেশাদার হিউম্যান কুরিয়ার, তাদের ক্ষেত্রে বারবার বড় জিনিস গিলে ফেলার কারণে এই পেশী তন্তুগুলো অনেকটা শিথিল হয়ে যায়। বমি করেই হোক বা মলত্যাগের সময়ই হোক, তাদের পক্ষে দেহ থেকে ‘ফরেন পার্টিকলস’ বের করার পদ্ধতিটা অনেক সহজ হয়ে যায়। এদের অনেকেই ছোটখাটো অপরাধ করে ইচ্ছাকৃতভাবে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে, যাতে স্বাভাবিকভাবেই সে জেলে ঢুকতে পারে।
কোনও কোনও ক্ষেত্রে গিলে ফেলা বস্তু শরীরের বাইরে স্বাভাবিকভাবে আসে না, তখনই ডক্টর দালালের মত এক্সপার্ট-এর দরকার পড়ে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এরা ধরা পড়ে না, কাজেই কতজন ধরা পড়েছে তার সংখ্যা বিচার করে হিউম্যান কুরিয়ার-এর মাধ্যমে চলতে থাকা চোরাচালান চক্রের সমগ্র ছবিটা পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ডক্টর দালাল নিজেই বলছেন, এই কাজ আসলে ‘লো রিস্ক অ্যান্ড হাই রিওয়ার্ড’।
অনেকক্ষেত্রে এমন অবজেক্ট-ও শরীর থেকে বের করা হয় যা প্রায় চার-পাঁচ বছর ধরে শরীরের ভেতরেই রয়ে গেছে, কিছু ক্ষেত্রে বাহক নিজে ভুলেও যায় শরীরের ভেতরে থাকা প্যাকেটের কথা– এমনটাই বলছেন ডাক্তাররা। বা অনেক ক্ষেত্রে এমনও হয় যে শরীরে থাকা প্যাকেটের কয়েকটাকে বের করা গেল, বাকিগুলো থেকে গেল শরীরের ভেতর।
আরো পড়ুন:- ভয়াবহ বিশ্ব উষ্ণায়ন ! প্রমাণ মিলল চলতি বছরে
সোনা, টাকা, ড্রাগস, ছোটখাটো অস্ত্র, সেলফোন– একাধিক আস্তরণে মুড়ে, কখনও নারকেল তেলে ভিজিয়ে অথবা ভাত বা রুটির সাথে মেখে– ন্যাশনাল কুরিয়াররা নানা পদ্ধতিতে সেগুলো নিজেদের শরীরের ভেতরে চালান করে দেয়। প্যাকেটের সাইজ খুব বড় হলে চলে না অবশ্যই, আবার এত ছোট হলেও চলবে না যাতে তা দু-একদিনের মধ্যেই মলের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, বাহককে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে তবেই মাল ‘ডেলিভারি’ দিতে হয়– তার জন্য প্রয়োজনীয় সময়টুকুও হিসাব করতে হয়।
এক্স-রে মেশিনে অনেক সময়ই ধরা পড়ে না শরীরের ভেতরে থাকা এসব অবজেক্ট। সিস্টেমের ভেতরের লুপহোলস-কে কাজে লাগিয়ে এ জিনিস চলছে বহুকাল। বছর বাইশের সাইনি বা বছর চব্বিশের সাহিলদের মত কেউ কেউ পেটে ফোন বা ড্রাগ প্যাকেট সমেত ধরা পড়ে কখনও সখনও, তাতে আরো কিছু তথ্য পাওয়া যায় এই র্যাকেট সম্পর্কে।
এই রকম খবর পেতে দয়া করে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন
রাজ্যে সরকারি দপ্তরে Group-D পদে কর্মী নিয়োগ, অষ্টম পাশে আবেদন, জেনে নিন বিস্তারিত👇🏻https://t.co/r389dxvlnN
— Daily Khabor Bangla (@daily_khabor) September 14, 2024
পড়ুয়াদের জন্য নয়া স্কলারশিপ, নবম শ্রেণী থেকে সবাই পাবে ৫০০০ হাজার টাকা👇🏻https://t.co/DC1fsu7fg6
— Daily Khabor Bangla (@daily_khabor) September 14, 2024
ভারতীয়দের নিয়ে সোজাসাপটা নিক ! বললেন, ‘ওরা তো…’https://t.co/SFRZPIVIhX
— Peek Medio (@peek_medio) July 29, 2024
মাত্র দুই বছরে 1300% বৃদ্ধি পেয়েছে এই শেয়ার, আপনার কাছে আছে এই শেয়ার ?https://t.co/EDhk1CG5fw
— Peek Medio (@peek_medio) August 28, 2024
৫০শে এসে ফুটন্ত যৌবন মালাইকার ! অর্জুনের পরে ফের মালাইকার জীবনে পুরুষ ?https://t.co/QPraDRAvIp
— Peek Medio (@peek_medio) July 17, 2024