চমকে দেওয়ার মতো ফন্দি, একের পর এক অনবদ্য অপারেশন, শত্রু দেশের মাজা ভেঙে দেওয়ায় ওস্তাদ মোসাদ। ইজ়রায়েলের এই গুপ্তচর সংস্থা বিশ্বের ‘সর্বাধিক কুখ্যাত’ ইন্টালিজেন্স এজেন্সির তকমা অনায়াসেই পেয়ে গিয়েছে। লেবাননে পরপর পেজার বিস্ফোরণের ফন্দি যে তাদেরই, সে ব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত হেজবোল্লা। ইজ়রায়েল স্বীকার না করলেও এই হামলায় মোসাদের ছাপ স্পষ্ট। অতীতেও এমন একাধিক অদ্ভুত সিক্রেট হামলা চালিয়েছে মোসাদ।
- ১৯৫৪ সালে কায়রোর নয়া প্রধান গামাল আবদেল নাসের আরব বিশ্বের নেতা হওয়ার উচ্চাকাঙ্খা তৈরি করেছিলেন এবং স্বৈরচারি এই শাসকের নজরে ছিল সুয়েজ খাল। পশ্চিমের দেশগুলির নজরে আসতে শুরু করেছিলেন নাসের। যা ইজ়রায়েলের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। ইজিপ্টে জঙ্গি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে শুরু করে ইজ়রায়েল। তাদের টার্গেট ছিল ব্রিটিশ এবং মার্কিনরা। কায়রোর ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং আমেরিকান ইনফরমেশন সেন্টার আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। হামলা চালিয়ে তার দায় ইজিপ্টের ঘাড়ে দিত ইজ়রায়েল। অপারেশনের নাম দেওয়া হয় ‘সুজ়ানা’। সে সময়ই অ্যাসিড ভরা কন্ডোম এবং বিস্ফোরক ভর্তি চশমার বাক্স ব্যবহার করেছিল মোসাদ।
- মোসাদের সবচেয়ে রুদ্ধশ্বাস অভিযান হিসেবে আজও গন্য হয় অ্যাডল্ফ আইকম্যানের অপহরণ। জার্মানিতে ইহুদি হত্যার সঙ্গে যুক্ত, প্রাক্তন নাৎসি নেতা অ্যাডল্ফ ১৯৪৪ সালে আর্জেন্টিনায় পালান। তদানীন্তন ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেন গুরিয়ন মোসাদের প্রধান ইসের হারেলকে নির্দেশ দেন অ্যাডল্ফকে ধরে আনতে। ১৯৬০ সালের ১১ মে আর্জেন্টিনায় অ্যাডল্ফের খোঁজ পায় মোসাদের আট জনের দল। অপহরণ করে তাঁকে নিয়ে ন’দিনের মধ্যে ইজ়রায়েল পৌঁছয় তারা। ১৯৬২ সালের ১ জুন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় অ্যাডল্ফের।
- হামাসের হয়ে বোমা, অস্ত্র তৈরি করা ইয়াহিয়া আয়াশ ‘ইঞ্জিনিয়ার’ নামে পরিচিত ছিলেন গাজ়ায়। তাঁর ফোনে বিস্ফোরক ঢুকিয়ে দেয় ইজ়রায়েল। বাবাকে ফোন করতে গিয়ে প্রাণ হারান তিনি।
- ১৯৯৭ সালে জর্ডানের আম্মানে তদানীন্তন হামাস নেতা খালেদ মাশালের শরীরে বিষপ্রয়োগ করে মোসাদ। আবার নিজে থেকে অ্যান্টিডোট পাঠায় ইজ়রায়েল। প্রাণ বেঁচে যান খালেদ।
- ২০১০ সালে পর্যটক সেজে ২৬ জনের দল দুবাইয়ের হোটেলে ঢুকে হামাসের তৎকালীন শীর্ষনেতা মাহমুদ আল-মাবহুকে হত্যা করে মোসাদের এজেন্টরা।
- ওই বছরই ইরানের পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের কম্পিউটারে ‘স্টাক্সনেট’ নামে ভাইরাসের হদিশ মেলে। ওই ভাইরাস ইরানের পরমাণু অস্ত্রের যাবতীয় ফর্মুলা ঘেঁটে দেয়। অনুমান করা হয় এর নেপথ্যে ছিল মোসাদ।
- ২০২০ সালে ইরানের শীর্ষস্থানীয় পরমাণু গবেষক মহসেন ফখরিজাদেকে রিমোট নিয়ন্ত্রিত মেশিন গান থেকে এলোপাথাড়ি গুলি করা হয়। এই অপারেশনের জন্যও মোসাদকেই কাঠগড়ায় তোলা হয়।
- ২০২১ সালে ইরানের মধ্যভাগে, মাটির নীচে একটি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে সাইবার হানা চলে। ইরান দাবি করে, বিস্ফোরক ভর্তি ড্রোন উড়িয়ে হামলা চালায় ইজ়রায়েল।
- ২০২৪ সালের জুলাই মাসে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ে খুন হন ইরানের রাজধানী তেহরানে। মোসাদই তাঁকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ তোলে ইরান।
এই রকম খবর পেতে দয়া করে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন
মহিলারা পাবেন ১০,০০০ টাকা! জন্মদিনে বিশেষ সুখবর দিলেন প্রধানমন্ত্রী, জানুন কিভাবে পাবেন👇🏻https://t.co/x17VmNiLsk
— Daily Khabor Bangla (@daily_khabor) September 18, 2024
কানারা ব্যাঙ্কে কর্মী নিয়োগ, মোট শূন্য পদ সংখ্যা রয়েছে ৩,০০০ টি, দেখে নিন আবেদন পদ্ধতি👇🏻https://t.co/l5z0ukdtbU
— Daily Khabor Bangla (@daily_khabor) September 18, 2024
ভারতীয়দের নিয়ে সোজাসাপটা নিক ! বললেন, ‘ওরা তো…’https://t.co/SFRZPIVIhX
— Peek Medio (@peek_medio) July 29, 2024
মাত্র দুই বছরে 1300% বৃদ্ধি পেয়েছে এই শেয়ার, আপনার কাছে আছে এই শেয়ার ?https://t.co/EDhk1CG5fw
— Peek Medio (@peek_medio) August 28, 2024
৫০শে এসে ফুটন্ত যৌবন মালাইকার ! অর্জুনের পরে ফের মালাইকার জীবনে পুরুষ ?https://t.co/QPraDRAvIp
— Peek Medio (@peek_medio) July 17, 2024