‘…রাজনৈতিক অশান্তির চেষ্টা’, জানুন পাহাড়ে বন্‌ধ নিয়ে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী ?

By Bangla news dunia Desk

Published on:

angry mamata

Bangla News Dunia , দীনেশ :- পাহাড়ে ১২ ঘণ্টার জন্য বন্‌ধ ডেকেছে একাধিক চা শ্রমিক সংগঠন। ‘কোনও বন্‌ধ হচ্ছে না। বাংলায় বন্‌ধ হয় না। এটা রাজনৈতিকভাবে অশান্তি করার চেষ্টা করা হচ্ছে’ বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চা শ্রমিকদের সমস্যার বিষয়টি লেবার কমিশন দেখছে, তিনি হস্তক্ষেপ করতে চান না বলে জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দু’দিনের জন্য উত্তরবঙ্গ সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী। ফেরার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চা শ্রমিকদের বোনাস নিয়ে যা সমস্যা, সেটা লেবার কমিশন দেখছে। কিছু রাজনৈতিক দল রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। পাহাড়ের বন্‌ধ ওদের বিষয়, ওরা দেখছে। আমি হস্তক্ষেপ করব না।’ তাঁর কথায়, ‘ত্রিপাক্ষিক বৈঠক চলছে। তাই আমি হস্তক্ষেপ করব না।’

আরো পড়ুন :- বাংলাদেশকে ঋণ পরিশোধ করতে চাপ দিচ্ছে চিন, বিশবাঁও জলে বাংলাদেশের একাধিক প্রকল্প

যদিও, সোমবার সকাল থেকেই বন্‌ধের প্রভাব পড়েছে পাহাড়ে। দার্জিলিং ম্যাল হোক কিংবা কার্শিয়াং স্টেশনের রাস্তা। যেখানে পর্যটকদের ভিড় সবসময় লেগেই থাকে। সেখান সকাল থেকে শুনশান অবস্থা। দোকানপাট, বাজার সবটাই বন্ধ সকাল থেকে। এর আগে গোর্খাল্যাণ্ডের দাবিতে আন্দোলন ও টানা কয়েকমাস পাহাড়ে বন্‌ধের ছবি নিয়মিত দেখেছিল রাজ্যবাসী। তবে বিগত কয়েক বছরে নতুন করে বন্‌ধ হয়নি পাহাড়ে। কিন্তু এ বছর চা শ্রমিকদের বোনাসের দাবিতে ডাকা বন্‌ধ যেন সেই পুরোনো ছবির কথা মনে করিয়ে দিল।

আরো পড়ুন :- এবার পাক ক্রিকেটারদের জন্য ফতোয়া জারি করলো পাক বোর্ড !

সকাল থেকেই রোহিনী, সুকনা, গাড়িধুরা, কার্শিয়াং, শিমুলবাড়ি-সহ নানা জায়গায় উপস্থিত ছিলেন পাহাড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী, চা শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। সমতল থেকে আসা গাড়ি ও পাহাড় থেকে নামা সমস্ত গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর জেরে দার্জিলিং শহরে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকেরা কার্যত হোটেলবন্দী হয়ে থাকতে হয়। যদিও বন্‌ধ সমর্থনকারীদের দাবি, যে পর্যটকদের বিমান, ট্রেন রয়েছে তাঁরা টিকিট দেখালে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। সকাল থেকেই রোহিনী টোলগেটে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়। অনেকে আবার পাহাড়ে উঠতে না পেরে ফিরে এসেছেন শিলিগুড়িতে। সন্ধ্যা ৬টায় বন্‌ধ উঠে যাওয়ার পর অনেকে যাবেন দার্জিলিং-এ।

আরো পড়ুন :- ‘গদ্দার হঠাও, ভাঙড় বাঁচাও’, সায়নী ঘোষের নিশানায় বাহুবলী তৃণমুল নেতা !

বন্‌ধ নিয়ে সিটু নেতা সমন পাঠক বলেন, ‘পাঁচ বার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু ১৩ শতাংশ-এর বেশি বোনাস দিতে রাজি নয় চা বাগান কর্তৃপক্ষ। সরকারের বিষয়টি দেখা উচিত ছিল। পর্যটকদের অসুবিধা হচ্ছে, কিন্তু তাঁদেরও চা শ্রমিকদের পাশে থাকা উচিত। যাদের বিমান, ট্রেন আছে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল থেকে চা কারখানাগুলির সামনেও আন্দোলন চলবে।’

#End

এই রকম খবর পেতে দয়া করে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন

 

 

Bangla news dunia Desk

মন্তব্য করুন