Bangla News Dunia , জ্যোতিষ ভারতী শ্রী নীলাদ্রি মিশ্র :- হিন্দু ধর্মে প্রায় সব দেব দেবীরই নিজস্ব বাহন রয়েছে। কোনও না কোনও পশু পাখির উপরে আসীন থাকেন প্রায় সব দেবতাই। এই বাহন সেই দেবতার আরাধনায় বিশেষ মাহাত্ম্য যুক্ত করে। প্রায় দোরগোড়ায় উপস্থিত দুর্গা পুজো। আজ দেবীপক্ষের চতুর্থী। মণ্ডপে মণ্ডপে শুরু হয়ে গিয়েছে ঠাকুর দেখার ভিড়। মা দুর্গা হলেন সিংহ বাহিনী, তাঁর বাহন হল সিংহ। কিন্তু কেন মা দুর্গার বাহন সিংহ তা জানা আছে কি?
শিব পুরাণের কাহিনি
শিব পুরাণ অনুসারে মহিষাসুরকে বধ করতে যাওয়ার সময় দেবীকে সিংহ দান করেছিলেন ব্রহ্মা। সিংহ হল প্রচণ্ড শক্তি, প্রবল রাগ, আক্রমণাত্মক মনোভাব ও রাজকীয় আচরণের প্রতীক। মহিষাসুরকে বধ করতে দেবী চামুণ্ডার রূপ নিয়েছিলেন। তাই সিংহের শক্তি, রাগ ও আক্রমণের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল দেবীর রণহুংকার। সিংহের উপর আসীন দশ হাতে দশ অস্ত্র ধরা রণসজ্জিত দুর্গা আমাদের মনের সমস্ত পাপ ও অন্ধকার বিনাশ করার আহ্বান জানান।
আরো পড়ুন :- আপনি কি জীবনে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত ? তাহলে পালন করুন কিছু সহজ টোটকা
সিংহের শক্তি, সাহস ও নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাই মিশে যায় ত্রিভূবনকে দেবীর রক্ষা করতে এগিয়ে আসার মধ্যে। মহিষাসুরের বিরুদ্ধে সহজে জয় পাননি দেবী। প্রচণ্ড যুদ্ধে তিনিও রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলেন। কিন্তু সে যুদ্ধে তিনি পিছু হটেননি। সমগ্র বিশ্বকে রক্ষা করার ভার নিয়েছেন যিনি, শরীর রক্তে ভেসে গেলেও তাঁকে নিজের কাজ সম্পূর্ণ করতেই হবে। এই সাহস, এই নেতৃত্বের শক্তির কারণে সিংহ ছাড়া আর কোনও প্রাণীকে দেবী দুর্গার বাহন হিসেবে মানায় না।
মহিলারা সাধারণত কোমল প্রকৃতির হয়ে থাকেন। শক্তি, সাহস যেন পুরুষদেরই একচেটিয়া। এই ধারণাকেই নস্যাত্ করে দেবী মুখোমুখি যুদ্ধে পরাজিত করেন প্রবল পরাক্রমশালী মহিষাসুরকে। সিংহের পিঠে মা দুর্গার অবস্থান তাঁর এই সাহস ও শক্তিকে পূর্ণতা দেয়।
অন্য মত
আবার অন্য একটি কাহিনি অনুসারে, শিবকে স্বামী হিসেবে লাভ করতে দেবী পার্বতী ১০০০ বছর ধরে তপস্যা করেছিলেন। এই প্রবল তপস্যার কারণে দেবীর রং কালো হয়ে যায়। বিয়ের পর একদিন শিব পার্বতীকে কালী বলে সম্বোধন করায় কৈলাস ত্যাগ করে ফের তপস্যায় মগ্ন হয়ে যান অভিমানিনী দেবী। সেই সময় দেবীকে শিকার করার ইচ্ছায় এক ক্ষুধার্ত সিংহ তাঁর দিকে এগোতে থাকে। কিন্তু তপস্যা মগ্ন দেবীর উপর আক্রমণ করবে না ভেবে তাঁর তপস্যা ভঙ্গের অপেক্ষায় সেখানেই চুপ করে বসে থাকে ওই সিংহ। এর মধ্যে অনেক বছর কেটে যায়। কিন্তু সিংহ তার নিজের জায়গা থেকে নড়ে না। এদিকে পার্বতীর তপস্যা সম্পন্ন হওয়ার পর গৌরবর্ণা দুর্গা আবির্ভূতা হন এবং তাঁর শরীরে মরা কোষ থেকে কালো রঙের দেবী কৌশিকী আবির্ভাব হয়। যে সিংহটি দেবীকে শিকার হিসেবে খেতে এসেছিল, তাকেই বাহন হিসেবে গ্রহণ করেন দেবী। কারণ দেবীর জন্য অনেক বছর অপেক্ষা করেছিল সে।
আরো পড়ুন :- কঠিন সময়ে পাঠ করুন কিছু বিশেষ মন্ত্র , দেখবেন সমস্যা কমে যাবে
আরো পড়ুন :- বাস্তু মতে ঘুমনোর সময় মাথার কাছে রাখুন কিছু জিনিষ, বদলে যাবে আপনার জীবন
জ্যোতিষ সম্বন্ধিত আরো খবরের জন্য আমাদের চ্যানেল ফলো করুন
————————————————————————
জ্যোতিষ ভারতী শ্রী নিলাদ্রী মিশ্র
বাস্তু , বিবাহ , ব্যবসা , মাঙ্গলিক দোষ , শত্রুদমন , ভাগ্য বিচার , কুষ্টি বিচার , চাকরি , প্রেম , কালসর্প দোষ , গ্রহণ দোষ , শনির সাড়েসাতি যে কোনো সমস্যার সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুন।
চেম্বার – কোলকাতা , দক্ষিনেশ্বর , ব্যারাকপুর , খড়গপুর , হলদিয়া , মহিষাদল , ডেবরা , মেদিনীপুর।
ফোন – 7384311482 , 7908533644 , 9933929211 ( অনলাইন এর মাধ্যমেও যত্ন সহকারে প্রেডিকশন দেওয়া হয়।