Bangla News Dunia , Pallab : টিউমার হল শরীরের অস্বাভাবিক টিস্যু পিণ্ড, যার কোষ বৃদ্ধি হয় স্বাভাবিকের চাইতে অনেক দ্রুত, অনিয়ন্ত্রিত ও সমন্বয়হীন ভাবে।
কোষের ধরন ও আচরণ অনুসারে টিউমার ২ ধরনের—-
১. বিনাইন (Benign) – যেটি বিপজ্জনক নয়। এর বৈশিষ্ট-
১. এই টিউমার একটি আবরণ (Capsule)
দ্বারা বেষ্টিত থাকে।
২. ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়।
৩. আশপাশে বা শরীরের অন্য কোনো
অংশে ছড়ায় না।
৪. অপারেশনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ভাল হয়।
আরো পড়ুন:- আয়ের প্রায় 65% দান করতেন তিনি, রতন টাটার জীবনের আরও অজানা তথ্য মুগ্ধ করবে আপনাকে
২. ম্যালিগন্যান্ট (Malignant) – এটি ক্ষতিকর । ক্যান্সার এক ধরনের ম্যালিগন্যান্ট টিউমার। এর বৈশিষ্ট-
১. এটি কোন আবরণ (Capsule) দ্বারা বেষ্টিত থাকে না,ফলে বৃদ্ধি হয় অনিয়ন্ত্রিত ও অগোছালো।
২. অতি দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
৩. আশেপাশের টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে।
৪. রক্তের মাধ্যমে শরীরের অন্য জায়গায়ও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
৫. প্রাথমিক স্টেজে সঠিক চিকিৎসা পেলে বেশিরভাগ ক্যান্সার ভাল হয়, তবে পুনরায় হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়, তাই চিকিৎসা নিতে হয় ধৈর্য ধরে ও দীর্ঘ সময় নিয়ে।
ক্যান্সার রোগীর শারীরিক অবস্থা —-
১. ক্ষুধামন্দা।
২. বমিবমি ভাব।
৩. রক্তশূন্যতা।
৪. অল্প সময়ে ওজন কমে যাওয়া।
৫. দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়া ও
৬. ক্যান্সারের ধরন অনুযায়ী অন্যান্য লক্ষণ।
অতএব, শরীরে ফোলা বা টিউমারের আচরণ যদি ম্যালিগনেন্ট টিউমারের বৈশিষ্ট্যের মতো না হয় ও রোগীর যদি ক্যান্সারের অন্যান্য লক্ষণসমূহের কোনটাই না থাকে— তাহলে ওই টিউমার নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে দুঃশ্চিন্তা মুক্ত হোন। #End
আরো পড়ুন:- পুজোর মুখে ২০০ জন অনাথ শিশুর বিরাট দায়িত্ব নিলেন সৌরভ! জানতে পড়ুন বিস্তারিত