Bangla News Dunia , Rajib : ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে চার বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (বিএসএফ। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এক ভারতীয় নাগরিকও, যাকে জাল আধার কার্ডসহ আটক করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্তে। অভিযুক্তরা ভুয়ো নথি ব্যবহার করে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল, এবং তাদের লক্ষ্য ছিল চেন্নাই পৌঁছে দৈনিক মজুরি শ্রমিক হিসাবে কাজ করা।
ঘটনা ও বিএসএফের প্রতিক্রিয়া
বিএসএফ জানায়, ১৫ অক্টোবর ভোরে মুর্শিদাবাদের বামানাবাদ সীমান্ত চৌকিতে সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে আসে। বিএসএফ সৈন্যরা সতর্ক হয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং সীমান্তে ঢুকতে চেষ্টা করা ব্যক্তিদের চ্যালেঞ্জ করে। অভিযুক্তরা প্রথমে প্রতিরোধের চেষ্টা করে এবং ভারতে প্রবেশের জন্য জোর করে এগোতে থাকে। বিএসএফের পক্ষ থেকে শক্তিশালী পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেওয়া হলে তারা ছড়িয়ে পড়ে এবং লম্বা ঘাসে লুকানোর চেষ্টা করে।
আরো পড়ুন:- রোজভ্যালির টাকা দেওয়া শুরু, আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকল? এভাবে সহজে আবেদন করলেই মিলবে টাকা
দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে বিএসএফ কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) মোতায়েন করে এবং পাঁচজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তদের কাছ থেকে চারটি ভুয়ো আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত বাংলাদেশি নাগরিকরা স্বীকার করে যে তারা চেন্নাইতে শ্রমিক হিসাবে কাজ করার উদ্দেশ্যে ভারতে প্রবেশ করছিল।
জাল নথি তৈরির কারবার
আসামিদের বক্তব্য অনুযায়ী, তারা বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপ-জেলার এক ব্যক্তির মাধ্যমে ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছিল। এই জাল নথির জন্য তারা ১০০০ বাংলাদেশি টাকা পরিশোধ করেছিল বলে জানায়। বিএসএফের বক্তব্য অনুসারে, আটককৃতদের স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো পড়ুন:- ‘প্রয়োজনে আরেকটি যুদ্ধ হবে’, দেশবাসীর উদ্দেশে বিবৃতি আওয়ামি লিগের
বিএসএফের প্রতিক্রিয়া
অপারেশন সম্পর্কে ডিআইজি বিএসএফ এন কে পান্ডে বলেন, “এই ঘটনা বিএসএফের সীমান্ত রক্ষার ক্ষেত্রে অদম্য সতর্কতা এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়ার প্রমাণ। আমাদের বাহিনী দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর এবং জাল নথি ব্যবহার করে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টাগুলোকে ব্যর্থ করার জন্য আমরা প্রস্তুত।”
সীমান্ত নিরাপত্তা ও চ্যালেঞ্জ
বিএসএফের অগ্রাধিকার হল ভারতের সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং এরূপ অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনা রোধ করা। সীমান্তে নিরাপত্তা কঠোর করার পাশাপাশি, বিএসএফ আন্তর্জাতিক সীমান্তের প্রতিটি অংশে নজরদারি বাড়াচ্ছে এবং স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছে।
#End