কৈলাশের পথে কেলেঙ্কারি! পিথোরাগড়ের গুহায় উদ্ধার কয়েক হাজার কঙ্কাল

By Bangla News Dunia Rajib

Published on:

kedarnath

Bangla News Dunia , Rajib : এক কথায় হাড় কাঁপানো। ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী পিথোরাগড় এবং তারপর ওই রুটে ভারতের শেষ গ্রাম গারবিয়াংয়ের পাশ দিয়েই কৈলাস যাওয়ার পথ। বছরের বেশির ভাগ সময়েই এই সব অঞ্চলের তাপমাত্রা যা থাকে তাতে কাঁপুনি অস্বাভাবিক নয়।

তবে সাম্প্রতিক কাঁপুনির নেপথ্যে আবহাওয়া নয়, রয়েছে ইতিহাসের এক অজানা অধ্যায়। পিথোরাগড়ের ধরচুলা গ্রামের কাছে একটি খোঁজ মিলেছে কয়েক হাজার মানব কঙ্কালের।

কী ভাবে ওই গুহায় এত কঙ্কাল জমা হলো, যাঁদের কঙ্কাল — কী ভাবে তাঁদের মৃত্যু হয়েছিল, সেই মৃত্যু কি আদৌ স্বাভাবিক মৃত্যু, নাকি বিশেষ কোনও উদ্দেশ্যে তাঁদের হত্যা তকা হয়েছিল অথবা তাঁরা একসঙ্গে আত্মবলি দিয়েছিলেন — এই সব প্রশ্নের উত্তরের একটাও এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

হিমালয়ের একের পর এক আকাশছোঁয়া শৃঙ্গ। এ বলে আমাকে দেখ, ও বলে আমাকে। দুই পর্বতের মাঝের জয়গাগুলো পাইন, ফার, বিচ, বার্চ এবং অন্য হিমালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা গাছের ঘন অরণ্য। গোটা এলাকাটাকে সাপের মতোই বারে বারে পাক খাওয়ার মতো বেষ্টন করে রয়েছে কালী নদী।

স্থানমাহাত্ম্যের জন্যই হোক বা পুরাণের বর্ণনা অনুযায়ী বিভিন্ন মুনি-ঋষির বাসস্থান হওয়ার দৌলতেই হোক — এই এলাকা ভারতীয়দের একটা বড় অংশের কাছে ‘দেবভূমি’ নামে পরিচিত। বহু মানুষের বিশ্বাস, মহাপ্রস্থানে এই পথ ধরেই কৈলাসের দিকে এগিয়েছিলেন দ্রৌপদী-সহ পাণ্ডবরা।

আরো পড়ুন :- ইজরায়েলের হাতে ‘মাদার অফ অল বম্ব’ ! ধ্বংস হয়ে যাবে মুসলিম দুনিয়া ?

আরো পড়ুন :- চীন-পাকিস্তানের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিল ভারত !

এমনই একটি অঞ্চলের এক অজ্ঞাত গুহা থেকে হঠাৎই খোঁজ মিলেছে কয়েক হাজার কঙ্কালের। এই এলাকায় এমন মানব দেহাবশেষের সন্ধান পাওয়ার নজির যে অতীতে নেই এমন নয়। তীর্থযাত্রীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র হিসাবে গণ্য রূপকুণ্ড হ্রদ থেকে ১৯৪০-এর দশকে উদ্ধার করা হয়েছিল বেশ কয়েকটি কঙ্কাল।

প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল অতীতে কখনও একদল তীর্থযাত্রী হয়তো তুষারঝড় বা শিলাবৃষ্টির মতো কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিলেন। তাতেই তাঁদের প্রায় একসঙ্গে প্রাণহানি হয়েছিল। কিন্তু পরর্বর্তী কালে ওই দেহাবশেষগুলোর ডিএনএ পরীক্ষায় জানা যায় সেখানে দু’ধরনের কঙ্কাল রয়েছে।

এক ধরনের কঙ্কাল যাঁদের, তাঁরা ৮০০ খ্রিস্টাব্দে জীবিত ছিলেন। অন্য দলের মানুষদের মৃত্যু হয়েছে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে। কিন্তু এর বাইরে ওই বিষয়ে আর কিছুই জানা যায়নি।

পিথোরাগড়ের কঙ্কালগুলো সম্পর্কে অবশ্য এখনও বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি। কঙ্কালে ভরা ওই গুহাটির সন্ধান সদ্য পাওয়া গেলেও স্থানীয় বাসিন্দারা বংশপরম্পরায় এলাকায় এমন একটি গুহার কথা বলে আসতেন।

এখানেই শেষ নয়, ১৯০১ সালে দুই সুইস অভিযাত্রী আর্নল্ড হাইম এবং অগুস্ত গানসের এই অঞ্চল দিয়েই তিব্বতের দিকে এগিয়েছিলেন। তাঁদের লেখা বিখ্যাত বই ‘ওয়েস্টার্ন টিবেট অ্যান্ড দ্য ব্রিটিশ বর্ডারল্যান্ড’-এও এই গুহাটির উল্লেখ রয়েছে।

আরো পড়ুন :- বদলাচ্ছে মার্কিন রাজনীতি ! ভারতের জন্য ভালো নাকি খারাপ ?

ওঁরা ওই গুহার অবস্থান ছাংরু নামে একটি গ্রামে বলে উল্লেখ করেছিলেন। সদ্য খোঁজ পাওয়া গুহাটিও অবশ্য ছাংরু গ্রামের খুব কাছেই।

নৃতত্ত্ববিদদের একাংশ মনে করছেন এই কঙ্কালগুলো তিব্বতের প্রাচীন ‘বন’ সংস্কার বা ‘বন’ ধর্মরীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে যুক্ত। ৯ম শতাব্দীতে আদি শঙ্করাচার্যের প্রভাবে এই অঞ্চলে হিন্দুধর্ম নতুন করে শক্তিশালী হতে শুরু করার আগে এই এলাকায় ‘বন’ নামের একটি বিশেষ ধর্মমত চালু ছিল।

ওই ধর্ম তিব্বতে প্রভাব বিস্তারকারী বৌদ্ধধর্মের বজ্রযান এবং স্থানীয় কোনও ধর্মের মিশ্রণে তৈরি হয়েছিল। গুহার দেহাবশেষগুলো কি কোনও ভাবে তার সঙ্গেই যুক্ত? জবাব খুঁজছেন পণ্ডিতরা।

#End

আরো পড়ুন:- বেকার ছেলে মেয়ে সবাইকে প্রতিমাসে ৩০০০ টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার, কিভাবে ই শ্রম কার্ড অনলাইন আবেদন করবেন?

এই রকম খবর পেতে দয়া করে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন

আরো খবর দেখুন :- বিনা সুদে 5 লাখ টাকা লোন দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। কিভাবে আবেদন করবেন জেনে নিন

আরো খবর দেখুন :- জানেন ভারতের পূর্বনাম কি ছিল ? কিভাবে এল আর্যরা ? জানুন অজানা ইতিহাস

আরো খবর দেখুন : শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যাথার সমস্যায় ভুগছেন ? দ্রুত মুক্তি দেবে হোমিওপ্যাথি

Bangla News Dunia Rajib

মন্তব্য করুন