রেশন দিতে কত ব্যয় হচ্ছে রাজ্যের, এবার স্লিপের মাধ্যমে জানাবে সরকার

By Bangla News Dunia Rajib

Published on:

Ration-Slip

Bangla News Dunia , Rajib : এই মুহূর্তে রেশন দোকান থেকে গ্রাহকদের যে সমস্ত রেশন সামগ্রী দেওয়া হয়ে থাকে, তা সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারও প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার মাধ্যমে গরিব মানুষকে বিনা পয়সায় রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। আর সেই হিসেবে সমস্ত দরিদ্র সম্প্রদায়ের মানুষদের বিনা পয়সায় রেশন সামগ্রী দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এখন থেকে গ্রাহকদের প্রতি কেজিতে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার জন্য সরকারকে কত খরচ করতে হচ্ছে, তা লিখিতভাবে উল্লেখ করে জানানোর কথা বলছে কেন্দ্রীয় সরকার৷

স্লিপেই লেখা থাকবে মাসিক চাল-গমের ভর্তুকির পরিমাণ

সূত্রের খবর, সরকার রেশন গ্রাহকের পরিবার পিছু মাসিক বরাদ্দের চাল-গমের জন্য মোট কত টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে তা চলতি মাস অর্থাৎ নভেম্বর থেকে ই-পস যন্ত্র এর মাধ্যমে পাওয়া স্লিপে উল্লেখ করা থাকবে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পভুক্ত গ্রাহকদের চাল-গমের জন্য ভর্তুকি কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের গ্রাহকদের জন্য রাজ্য সরকার যে ভর্তুকি দিচ্ছে, সেটাও উল্লেখ করে দেওয়া হবে এই স্লিপে। কিন্তু সেক্ষেত্রে রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ‘খাদ্য সাথী’ নাম ও লোগো স্লিপের উপরে প্রিন্ট করা থাকবে। অন্যদিকে জাতীয় প্রকল্পের গ্রাহকদের ক্ষেত্রে খাদ্য সাথীর নাম বা লোগোর পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা নামটি প্রিন্ট করা থাকবে।

এতদিন ধরে ই-পস মেশিন থেকে বের হওয়া বিলে কোনও অর্থের উল্লেখ থাকে না। তবে এখন থেকে তার বদলে সেই স্লিপে কোন খাদ্যশস্য কী পরিমাণে দেওয়া হচ্ছে সেই তথ্য লোগো সহকারে সরাসরি গ্রাহকদের হাতে দিয়ে দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকার এমনও দাবি করেছে যে, অন্য রাজ্যগুলি ইতিমধ্যেই যেখানে এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে এই প্রক্রিয়া চালু করে দিয়েছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গ এখনও এই সিদ্ধান্তকে মানতে পারেনি। তাই পশ্চিমবঙ্গকেও এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

কী বলছেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ?

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার সমস্ত খরচ কেন্দ্রীয় সরকার এককভাবে বহন করে এ কথা সত্যি নয়। এক্ষেত্রে রাজ্যকে রেশন ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটারদের কমিশন এবং পরিবহণ খরচ বহন করতে হয়। এর পাশাপাশি RKSY 1 এবং RKSY 2-এর অধীনে যে খাদ্যশস্য উপভোক্তাদের দেওয়া হয়, এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে সমস্ত খরচ বহন করতে হয়। আর সে কারণেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে কেন্দ্রীয় খরচের খতিয়ান যেমন স্লিপে থাকবে, একইভাবে রাজ্য সরকার উপভোক্তাদের জন্য কত টাকা খরচ করছে, তার হিসাবও দেওয়া থাকছে সেখানে।”

#END

Bangla News Dunia Rajib

মন্তব্য করুন