Bangla News Dunia , Rajib : জনস্বার্থে বা জনগণের কল্যাণের কোনও প্রকল্পের যুক্তি দিয়ে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন যে কোনও সম্পত্তি সরকার চাইলেই অধিগ্রহণ করতে পারে না- মঙ্গলবার এই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ন’জন বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ব্যক্তি মালিকানাধীন সব সম্পত্তিই কমিউনিটি রিসোর্স বা গোষ্ঠী উন্নতির কাজে ব্যবহারের মতো নয়। ফলে জনস্বার্থের কারণ দেখিয়ে সেগুলি অধিগ্রহণ করা যায় না। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি হৃষীকেশ রায়, বিচারপতি বিভি নাগরত্ন, বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্র, বিচারপতি রাজেশ বিন্দল, বিচারপতি এসসি শর্মা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ এই মামলাটি শুনছিলেন। মামলায় তিনটি আলাদা রায় লেখা হয়েছে। একটি লিখেছেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়-সহ সাত বিচারপতি। বিচারপতি নাগরত্ন সিজেআইয়ের বেঞ্চের মূল রায়ের সঙ্গে সহমত হলেও কয়েকটি পর্যবেক্ষণ নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। তৃতীয় রায়টি লিখেছেন বিচারপতি ধুলিয়া। মূল রায়ের সঙ্গে তিনি সহমত হতে পারেননি।
আরো পড়ুন :- ইজরায়েলের হাতে ‘মাদার অফ অল বম্ব’ ! ধ্বংস হয়ে যাবে মুসলিম দুনিয়া ?
আরো পড়ুন :- চীন-পাকিস্তানের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিল ভারত !
মামলার প্রেক্ষাপট
শীর্ষ আদালতে মুম্বইয়ের প্রপার্টি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (POA) আবেদন ছিল, ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি সার্বিক ভাবে ব্যবহারের জন্য রাষ্ট্র নিজের ইচ্ছে মতো নিয়ে নিতে পারে না। ১৯৭৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, সংবিধানের ৩৯বি ও ৩৯সি অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা জনস্বার্থে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও বিতরণ করতে পারে।
এ দিনের রায় কী বলা হয়েছে?
সিজেআই-এর নেতৃত্বাধীন সংখ্যাগরিষ্ঠের বেঞ্চ জানিয়েছে, অনুচ্ছেদ ৩৯বি-তে বলা হয়েছে যে, কোনও ব্যক্তির বস্তুগত সম্পদের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ যাতে সর্বসাধারণের কল্যাণের জন্য সর্বোত্তম ভাবে বিতরণ করা হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্র তার নীতি প্রণয়ন করবে। তবে, রাজ্য বা রাষ্ট্র নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রেই কেবলমাত্র ব্যক্তিগত সম্পত্তির উপর অধিকার দাবি করতে পারে।
#END