Bangla News Dunia , Rajib : রাজ্যের দুই জেলায় ট্যাব কেনা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তদন্তে নামল স্কুল শিক্ষা দপ্তর। নবান্ন সূত্রে খবর, বিষয়টি নজরে আসা মাত্রই ঘটনাটি তদন্ত করে দেখার জন্য শিক্ষা সচিবকে নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে বিকাশ ভবন।
অভিযোগ, যাদের ট্যাবের টাকা পাওয়ার কথা তাদের বদলে অন্যদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। পূর্ব বর্ধমান এবং পূর্ব মেদিনীপুরের বেশকিছু স্কুলের পড়ুয়া ট্যাবের টাকা পায়নি বলে অভিযোগ। নবান্নের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাদের অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে টাকা ঢুকেছে তা পুনরুদ্ধার করতে হবে। নইলে তারা আগামীদিনে আর ট্যাবের টাকা পাবে না।
পূর্ব মেদিনীপুরে ট্যাবের টাকা গরমিলের ঘটনায় জেলার স্কুলগুলিকে আজ, শুক্রবারের মধ্যে রিপোর্ট জমার নির্দেশ দিয়েছে জেলা শিক্ষা দপ্তর। এই গরমিল প্রকাশ্যে আসতেই গাফিলতির অভিযোগে চারটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে শিক্ষা দপ্তর।
নবান্নের শীর্ষকর্তারা বৃহস্পতিবার জরুরি ভিত্তিতে বিকাশ ভবনের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন। জানতে চেয়েছেন, কেন যোগ্য পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা না ঢুকে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এর সঠিক কারণ খুঁজে বার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন : সন্তানকে মানুষ করতে মেনে চলুন কালাম স্যারের ৬ নীতি, সমাজে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করবে আপনার বাচ্চা
আরো পড়ুন : লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে সলমনের নাম জুড়ে গান, ফের অভিনেতাকে হুমকি
বৃহস্পতিবার ফোনে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) শুভাশিস মৈত্র বলেন, ‘শুক্রবারের মধ্যে স্কুলগুলিকে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট খতিয়ে দেখলেই জানা যাবে কতগুলি স্কুলের কতজন পড়ুয়ার ট্যাব কেনার টাকা উধাও হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের মুরাদপুর বিবেকানন্দ হাইস্কুল, দিবাকরপুর হাইস্কুল, নন্দকুমারের ব্যবত্তারহাট হাইস্কুল, মহিষাদলের নাটশাল হাইস্কুলের মোট ৬৪ জন পড়ুয়ার ট্যাব কেনার টাকা উধাও হয়েছে।’
এই নিরিখে জেলা শিক্ষা দপ্তরে অভিযোগ জমা পড়েছে। পাশাপাশি, আরও কয়েকটি স্কুলের পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বলেন, ‘একসঙ্গে এত ছাত্রছাত্রীর ট্যাব কেনার টাকা উধাও হওয়ার ঘটনা অস্বাভাবিক। কেন এমন ঘটল বা কাদের গাফিলতিতে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জেলা শিক্ষা দপ্তরও পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে।’
শিক্ষকদের অভিযোগ, নিয়ম মেনে তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য শিক্ষা পোর্টালে আপলোড করেছিলেন। তারপরে অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলে গিয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরে শুধু চারটিই নয়, একাধিক স্কুলে এমন গরমিলের ঘটনা ঘটেছে। পূর্ব বর্ধমানে ৮০ জন ছাত্রের ট্যাবের টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।