Bangla News Dunia , Rajib : অযোধ্যার রাম জন্মভূমি মামলা থেকে শুরু করে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ, ডিওয়াই চন্দ্রচূড় দেশের প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন একের পর এক ঐতিহাসিক রায়দান করেছে তাঁর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। বাদী-বিবাদী সমস্ত পক্ষের আইনজীবী শুনানি চলাকালীন আদালতের ‘ডেকোরাম’ না মানলে কড়া বার্তা দিতেও দেখা গিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে।
দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে কাজের শেষ দিনে সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। একই সঙ্গে জানান, আর ন্যায়বিচার দিতে না পারলেও তিনি সন্তুষ্ট। তাঁর কথায়, ‘আমি সম্ভবত সব থেকে বেশি ট্রোল হওয়া জাজ। সমালোচকরা আজ থেকে কর্মহীন। সমালোচনা নেওয়ার মতো চওড়া কাঁধ আমার রয়েছে।’
২০১৬ সালের মে মাস থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের আমলে কোন কোন উল্লেখযোগ্য রায়দান হয়েছে?
অযোধ্যা মামলা: বাবরি মসজিদের বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরির নির্দেশ দিয়ে শীর্ষ আদালত ঐতিহাসিক রায় দেয় ২০১৯ সালে।
ব্যাক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার: ২০১৭ সালের এই মামলায় নয় বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ঐক্যমত হয়ে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় রায় দিয়েছিলেন গোপনীয়তা সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদের অধীনে একটি মৌলিক অধিকার, তা জরুরি অবস্থার সময়েও বহাল থাকবে। ১৯৭৬ সালে শীর্ষ কোর্ট জানিয়েছিল জরুরি অবস্থার সময়ে মৌলিক অধিকার সাসপেন্ড করা যায়। সেই বেঞ্চের সদস্য ছিলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বাবা ওয়াইভি চন্দ্রচূড়।
আরো পড়ুন :- বিরল ঘটনা, বরফে ঢাকল সৌদি আরবের উষ্ণ মরুভূমি! ভাইরাল ভিডিও দেখে তাজ্জব বিশ্ব
নির্বাচনী বন্ড: নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট।
পরকীয়া ফৌজদারি অপরাধ নয়: পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দেয়, পরকীয় ফৌজদারি অপরাধ নয়। IPC ৪৯৭ ধারাকে বাতিল ঘোষণা করা হয়।
LGBTQ+ অধিকার: IPC ৩৭৭ অর্থাৎ সমকামিতাকে ডিক্রিমিনালাইজ় করা হয়। এই রায় LGBTQ+-দের মৌলিক অধিকার স্থাপন করে এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে এক নজিরবিহীন মাইলফলক স্থাপন করে।
হাদিয়া মামলা: ২০১৭ সালের এই মামলায় নিজের পছন্দের প্রার্থীকে বিয়ের অধিকারকে সংবিধানে স্বীকৃত জীবন ও স্বাধীনতার অধিকারের আওতাভুক্ত করা হয়।
শবরীমালায় প্রবেশাধিকার: কেরালার শবরীমালা মন্দিরে ১০-৫০ বছর বয়সী নারীদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পক্ষে ছিলেন প্রধান বিচারপতি।
ব্যক্তিগত সম্পত্তি অধিগ্রহণ: চাইলেই যে কোনও ব্যক্তিগত স্থাবর সম্পত্তি কেড়ে নিতে পারে না রাষ্ট্র। তার জন্য শর্ত পূরণ করতে হবে।