Krishak Bandhu : কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা কবে ঢুকবে? জেনে নিন বিস্তারিত

By Bangla news dunia Desk

Published on:

mamata and tmc

 

Bangla News Dunia , দীনেশ : রাজ্য সরকারের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের (Krishak Bandhu Scheme) নতুন আপডেট। রাজ্য সরকার রাজ্যের জনসাধারণের জন্য একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সূচনা করেছেন। এর মাধ্যমে কিশোরী, মহিলা, বয়স্ক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, যুবক – যুবতী আর্থিকভাবে উপকৃত হয়েছেন। অনুরূপভাবেই রাজ্যের কৃষকদের জন্য কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সূচনা করেছেন, যার মাধ্যমে রাজ্যের কৃষকরা রবি শস্য এবং খারিফ শস্যের জন্য আর্থিক অনুদান পেয়ে থাকেন।

আরো পড়ুন :- ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পুতিনকে ফোন ট্রাম্পের, কী বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট? জেনে নিন

Krishak Bandhu Scheme Update 2024

কৃষকদের আর্থিক অবস্থা অনেকটাই অনুন্নত সেই অবস্থায় কৃষিকাজের জন্য কীটনাশক সার ও উন্নত যন্ত্রপাতি কেনার জন্য নিজেদের থেকে যদি অর্থ বরাদ্দ করতে হয়, তাহলে তাদের পক্ষে সেটা খুবই সমস্যার ব্যাপার। এজন্যই রাজ্য সরকার রাজ্যের কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দানের জন্য বছরে দুবার আর্থিক অনুদান দিয়ে থাকেন। কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের কৃষকরা অনেকটাই উপকৃত হন।

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা দুটি পর্যায়ে দেওয়া হয়। একটি রবিশস্যের জন্য টাকা দেওয়া হয় অন্যটি খারিফ শস্যের জন্য টাকা দেওয়া হয়। খারিফ শস্যের জন্য টাকা পেয়ে গিয়েছেন রাজ্যের কৃষকরা। সম্প্রতি রবি ফসলের জন্য আর্থিক অনুদান পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। রাজ্যের কৃষকদের জন্য সর্বনিম্ন ৪০০০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। কৃষকদের নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে এই প্রকল্পের টাকা নির্দিষ্ট সময় পৌঁছে যায়। সাধারণত, খারিফ মরশুমের টাকা দেওয়া হয় এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এছাড়া রবি মরশুমের টাকা দেওয়া অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে।

আরো পড়ুন :- মুসলিম-ল বোর্ডকে নিষিদ্ধ করার হুঁশিয়ারি বিজেপি নেতার !

Krishak Bandhu Scheme Benifits

কৃষকদের চাষের জমির পরিমাণের ওপর নির্ভর করে একজন কৃষক কত টাকা অনুদান পাবেন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। দেখে নেওয়া যাক একজন কৃষকের কত একর জমি থাকলে তিনি কত পরিমান ভাতা পাবেন:- ১) যদি ০.৪০ একর পর্যন্ত জমি থেকে তাহলে একটি কিস্তিতে ২,০০০ টাকা, বছরে ৪,০০০ টাকা দেওয়া হয়। ২) যদি ০.৪১ একর থেকে ০.৯৯ একর পর্যন্ত জমি থেকে তাহলে ( জমির পরিমাণ × ৫০ গুণ) করে টাকা পাওয়া যায়। যেমন: কারো ০.৫০ একর জমি হলে তিনি এক কিস্তিতে টাকা পাবেন ০.৫০ × ৫০ = ২৫০০ টাকা, দুই কিস্তিতে ২৫০০+২৫০০=৫০০০ টাকা পাবেন ৩) যদি ১ একর বা তার বেশি জমি থাকে তাহলে সর্বাধিক ৫,০০০ টাকা এক কিস্তিতে।

আরো পড়ুন :- ৪০ কুমারী মহিলাকে ‘গর্ভবতী’ ঘোষণা করল সরকার, এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা কোথায় ঘটলো, জানতে পড়ুন

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের স্ট্যাটাস কিভাবে চেক করবেন?

ইতিমধ্যে স্ট্যাটাস চেক করলে বোঝা যাচ্ছে, আপনি কবে টাকা পাবেন। কিভাবে স্ট্যাটাস চেক করবেন জেনে নিন। আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা এসেছে কিনা সেটা জানার জন্য আপনি চেক করতে পারেন। কিভাবে করবেন দেখে নিন।

১) প্রথমে আপনাকে যেতে হবে কৃষক বন্ধু পোর্টালের ওয়েবসাইট krishakbandhu.net এ।
২) এরপর “নথিভুক্ত কৃষকের তথ্য” অপশনটিকে সিলেক্ট করতে হবে।
৩) কৃষকের ভোটার কার্ড বা আধার কার্ডের মাধ্যমে স্ট্যাটাস চেক করা যেতে পারে। এই কাজটি করার জন্য “আধার কার্ড” বা ভোটার কার্ড অপশনটি নির্বাচন করে নিতে হবে।
৪) এরপর কৃষকের ভোটার কার্ড বা আধার কার্ডের নম্বরকে নির্ভুলভাবে ইন্টার করতে হবে।
৫) এরপর কৃষক বন্ধু প্রকল্পের স্ট্যাটাস দেখতে পাবেন। স্ট্যাটাসের যদি “Delete Farmer/ No Data Found” এই লেখাটি উল্লেখ থাকে তাহলে আপনাকে নতুন করে আবেদন করতে হবে। এছাড়া কেওয়ায়সি জমা করতে হবে, কেওয়াইসি জমা না দিলে আপনি প্রকল্পের টাকা পাবেন না।

কবে টাকা দেওয়া হবে

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের খারিফ মরশুমের টাকা দেওয়া হয় সাধারণত জুন মাসে। অন্যদিকে রবি মরশুমের টাকা দেওয়া হয়ে থাকে ডিসেম্বর মাস নাগাদ। বিগত বছরগুলি লক্ষ্য করলে এমনটাই পর্যায়ক্রম দেখা যায়। সেই অনুযায়ী এই বছরও ডিসেম্বর মাসেই রবি শস্যের অনুদান পাবেন কৃষকরা মনে করা হয়েছিল। তবে স্ট্যাটাস চেক করে জানা যাচ্ছে, ডিসেম্বর সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না রাজ্যের কৃষকদের। আগেই পেয়ে যাবেন এই প্রকল্পের টাকা।

এই কথাটি বলা হচ্ছে কারণ, কৃষক বন্ধু প্রকল্পের স্ট্যাটাসের ট্রানজাকশন নামক যে ফাঁকা স্থান রয়েছে সেখানে এতদিন পর্যন্ত Ada Uploaded লেখা দেখা গিয়েছিল, তারপর Dda Approved লেখা এসেছিল। তবে সম্প্রতি সেই জায়গায় account valid নামক এই লেখাটি এসেছে। এই লেখাটি আসার অর্থ হচ্ছে রাজ্য সরকার কর্তৃক আপনাদের একাউন্টের সমস্ত কিছু যাচাই-বাছাই করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যে, তাই খুব শীঘ্রই আপনাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে চলেছে।

বিশেষ করে এই বছর বন্যা ও নিম্নচাপ জনিত কারণে কৃষকদের চাষবাসে অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে, সেজন্যই রাজ্য সরকার এই বছর নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অনুদান দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। যদিও ডিসেম্বর মাসে রবিশস্যের টাকা ঢোকার কথা, তবে মনে করা হচ্ছে নভেম্বরের শেষের দিকে কিংবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের শুরুতে প্রকল্পের টাকা পেয়ে যাবেন কৃষকরা। তবে আপনি যদি কৃষক বন্ধু প্রকল্পে কোনো সমস্যার কথা ব্যক্ত করতে ইচ্ছুক হন, তাহলে ফোন করতে পারেন সকাল ১০ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত 8336957370 / 6291720406 এই দুইটি নাম্বারে।

আরো পড়ুন :- পশ্চিমবঙ্গে ফের প্রাইমারী টেট এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ। প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ

 

Bangla news dunia Desk

মন্তব্য করুন