Bangla News Dunia , দীনেশ : শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় উন্নতির জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চালু করার তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে হঠাৎ করেই দেখা গিয়েছে বিপত্তি। বহু ছাত্র-ছাত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এই প্রকল্পের টাকা ঢুকেছে ডবল বা দ্বিগুন পরিমাণে। আবার কিছু ক্ষেত্রে অন্যদের অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে এই প্রকল্পের টাকা।
এর ফলে সরকার এবং শিক্ষা দপ্তর চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলায় ১৭ টি স্কুলের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ উঠে এসেছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং ব্যাংকগুলোকে অতিরিক্ত টাকা ফ্রিজ করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
১৭ টি স্কুলে অতিরিক্ত টাকার অভিযোগ
সংবাদ সুত্রে জানা গেছে, মুর্শিদাবাদ জেলার বেশ কিছু স্কুলে ৪৮৪১ জন ছাত্রছাত্রী তাদের অ্যাকাউন্টে দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা পেয়েছে। অর্থাৎ, তাদের এই তরুনের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা দুই দুই বার করে ঢুকেছে।
এতে তাদের অ্যাকাউন্টে প্রায় ৪ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত চলে গিয়েছে। ফলে অনেক স্কুলে এখনো অনেক ছাত্রছাত্রী তাঁদের ১০,০০০ টাকা পায়নি। যে স্কুলগুলোতে এই সমস্ত সমস্যা দেখা গেছে তার মধ্যে রয়েছে আমতলা হাইস্কুল, ডাঙ্গাপাড়া মুক্তারপুর হাইস্কুল, বালি গান্ধী মেমোরিয়াল হাইস্কুল ইত্যাদি।
আরো পড়ুন :- মুসলিম-ল বোর্ডকে নিষিদ্ধ করার হুঁশিয়ারি বিজেপি নেতার !
ব্যাংকগুলিতে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের চিঠি
অতিরিক্ত টাকা ফেরত পেতে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অমর কুমার শীল প্রতিটি ব্যাংককে নির্দেশ জারি করেছে। এই নির্দেশে প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর নাম, অ্যাকাউন্ট নাম্বার, বাবার নাম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য অন্তর্ভুক্ত রিয়েছে।
ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্ট থেকে অতিরিক্ত যে ১০,০০০ টাকা দেওয়া হয়েছে সেগুলি অবিলম্বে ফ্রিজ করা হোক, যাতে সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত টাকার পরিমান অপরিবর্তিত থাকে।
আরো পড়ুন :- ৪০ কুমারী মহিলাকে ‘গর্ভবতী’ ঘোষণা করল সরকার, এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা কোথায় ঘটলো, জানতে পড়ুন
শিক্ষা দপ্তরের তদন্ত
ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে শিক্ষা দপ্তর এবং ট্রেজারি দপ্তর তদন্ত শুরু করেছে। জানা গেছে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের পাঠানো ছাত্র-ছাত্রীদের তালিকা রাজ্যের শিক্ষা বিভাগে প্রকাশ করার পরেই টাকাগুলির জন্য ট্রেজারি দপ্তর থেকে ব্যাংকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল। তবে এই ভুলটি কিভাবে ঘটেছে তা চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির জঙ্গিপুর জেলা সভাপতি আশরাফ আলী রেজভী এই প্রসঙ্গ নিয়ে উল্লেখ করেছেন, ভুল অবশ্যই কোথাও হয়েছে, তবে স্কুলগুলোর কোন ত্রুটি নেই এই বিষয়ে। ভুলটি জেলা শিক্ষা বিভাগ অথবা ট্রেজারি দপ্তরের তরফ থেকে হতে পারে। ভবিষ্যতে যেন এই ধরনের সমস্যা না হয়, সেজন্য এই বিষয়টিকে খতিয়ে দেখা উচিত।