বাদুড় না থাকলে মানুষ চকোলেট খেতে পারতেন না, জানুন চকোলেট তৈরির ভিতরের কাহিনী

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বাদুড় নামে প্রাণিটি নিয়ে কারও বিশেষ ভালবাসা নেই। রাতের অন্ধকারে উড়ে বেড়ানো এ প্রাণি থেকে দূরে থাকাই পছন্দ করেন সকলে। এদের কেউ পোষার কথা মাথায়ও আনেন না।

বরং লোকালয় থেকে তাদের কীভাবে তাড়ানো যায় সেদিকে নজর দেয় মানুষ। এই আপাত ব্রাত্য প্রাণিটির জন্যই কিন্তু বিশ্বের মানুষ মন ভরে চকোলেট খেতে পারছেন।

বাদুড়রা হল সেই প্রাণি যারা কোকোয়া গাছের বংশবৃদ্ধির অন্যতম সহায়ক। কারণ বাদুড়রা কোকোয়ার পরাগমিলন ঘটাতে সিদ্ধহস্ত। যেখানেই কোকোয়া গাছ থাকে সেখানে বাদুড়রা কোকোয়ার পরাগমিলনে সাহায্য করে।

 

আরো পড়ুন:-শরীরে থাইরয়েডের জন্য ওজন বাড়ছে হু হু করে? জানুন সমস্যার সমাধান

অবশ্যই তারা পরাগমিলন বোঝে না। তারা তাদের স্বভাব বশত কোকোয়ার পরাগমিলনে না জেনেই সাহায্য করে। যা কিন্তু আদপে কোকোয়া গাছের বংশবৃদ্ধিকে তরান্বিত করে। বহু দূর দূর পর্যন্ত কোকোয়া গাছ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে কোকোয়ার উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়।

এক গবেষক ইন্দোনেশিয়ার সুলায়েসিতে কোকোয়া গাছের যেখানে চাষ হয় সেখান থেকে একটা সময়ের জন্য বাদুড়দের তাড়ানোর পর কি হয়েছিল তা পরীক্ষা করে দেখেছিলেন।

তিনি দেখেন বাদুড়দের ওই কোকোয়া গাছদের থেকে দূরে রাখার পর সেখানে কোকোয়া উৎপাদন এক ধাক্কায় ৩১ শতাংশ কমে গিয়েছিল। তাহলে কি অন্য পাখিরা এই পরাগমিলনে সাহায্য করেনা?

সকালে পাখিরা এবং রাতে বাদুড়রা এই কাজ করে থাকে। ওই পরীক্ষার সময় দেখা যায় যে ৩১ শতাংশ উৎপাদন কমে গিয়েছিল তাতে শুধুমাত্র বাদুড়দের জন্যই কমেছিল ২২ শতাংশ উৎপাদন। কারণ কোকোয়ার পরাগমিলনে বাদুড়দের মত সাহায্য আর কেউই করতে পারেনা।

 

আরো পড়ুন :- স্টেশনে ট্রেন ঢোকার আগে দিতে হয় ঘুষ! ভারতেই চলে এই আজব নিয়ম, ভাইরাল ভিডিও

আরো পড়ুন :- পশ্চিমবঙ্গে ফের প্রাইমারী টেট এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ। প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন