কেউ অপরাধে অভিযুক্ত হলেই তাঁর ঘরবাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া যায় না: সুপ্রিম কোর্ট

By Bangla News Dunia Rajib

Published on:

court

Bangla News Dunia , Rajib : ‘বুলডোজ়ার জাস্টিস’ নিয়ে কড়া বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিআর গাভাই ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন জানিয়ে দিলেন, কেউ অপরাধে অভিযুক্ত হলেই প্রশাসনের কোনও আধিকারিক খেয়ালখুশি মতো তাঁর বাড়িঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে পারেন না। তা একেবারেই আইনের শাসনের পরিপন্থী।

সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, কেউ দোষী কি না তা আদালতের বিচার্য, প্রশাসনের নয়। প্রশাসনের কোনও আধিকারিক বিচারক হতে পারেন না। আইনসভা, প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থার ক্ষমতার পৃথকীকরণ করেছে দেশের সংবিধান। গণতন্ত্রে স্বেচ্ছাচার ও খেয়ালখুশি আচরণের কোনও জায়গা নেই। সংবিধান এই ধরনের স্বেচ্ছাচারিতাকে প্রশ্রয় দেয় না।

বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ এও জানিয়েছে, প্রশাসনের যে সব অফিসার অভিযুক্তদের ঘরবাড়ি বুলডোজ়ার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন তাঁদের কাছ থেকে কৈফিয়ত তলব করা উচিত। তাঁদের দায় তাঁদেরই নিতে হবে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই ধরনের স্বেচ্ছাচারিতার অর্থ, বকলমে অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের লোকজনকেও শাস্তি দেওয়া।

আরো পড়ুন :- পাহাড়ে কর্মসংস্থানে জোর, ৪টি ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার’ গড়ার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

আরো পড়ুন :- দুঃসংবাদ রাসেলকে নিয়ে, চিন্তায় KKR

ঘরবাড়ি ভাঙার আগে কী কী করতে হবে তার নির্দেশিকাও তৈরি করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। বলা হয়েছে, কোনও সম্পত্তি বা নির্মাণ ভাঙতে হলে অন্তত ১৫ দিন সময় দিতে হবে। কারণ, মহিলা ও শিশুরা গৃহহীন হয়ে রাস্তায় রাত কাটাচ্ছেন, এমন দৃশ্য মেনে নেওয়া যায় না। সময় দেওয়া হলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে না। পুর আইন অনুযায়ী শো-কজ় নোটিস ছাড়া ঘরবাড়ি ভাঙা যাবে না। শো-কজ় নোটিস দেওয়ার পরে ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে। রেজিস্টার্ড পোস্টে শো-কজ নোটিস পাঠাতে হবে। যে ঘরবাড়ি ভাঙা হবে তার বাইরের দিকের দেওয়ালেও সেই নোটিস ঝোলাতে হবে।

অভিযুক্তের ঘরবাড়ি ভাঙার আগে তাঁর বক্তব্য শুনতে হবে পুর কর্তৃপক্ষকে। দু’পক্ষের শুনানি নথিভুক্ত করতে হবে। বাড়িঘর ভাঙার ভিডিওগ্রাফি করতে হবে এবং তার ফুটেজ পুর কমিশনারকে পাঠাতে হবে।

#END

Bangla News Dunia Rajib

মন্তব্য করুন