সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির অবসরেই ঘুরে গেল খেলা? বকেয়া DA মামলায় নয়া আপডেট

By Bangla News Dunia Rajib

Published on:

Dearness-Allowance-case-supreme-court

Bangla News Dunia , Rajib : দীর্ঘ ৮ বছর ধরে পঞ্চম বেতন কমিশন সংক্রান্ত মামলা নিয়ে বেশ চাপে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এখনও পর্যন্ত মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। এদিকে ২০১৬ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের লড়াই চলে আসছে। যদিও প্রথমে এই মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ওঠে। সেখানে রাজ্য সরকারী কর্মীদের হয়েই রয়ে বেড়ায়। এবং ২০২২ সালের ২০ মে প্রশাসনের বিরুদ্ধে নির্দেশ দেওয়া হয় যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া DA মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু এই নির্দেশ মানতে নারাজ রাজ্য সরকার।

দীর্ঘ ৮ বছরের মামলা এখনও অধরা!

এই আবহে রাজ্য সরকার উচ্চ আদালতের DA রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়। আর অন্যদিকে রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করে। সেই মামলার মধ্যেই পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেই ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা চলছে। এখন ২০২৪ প্রায় শেষের পথে চলে এলেও মামলা এখনও অধরা।

আরো পড়ুন :- পাহাড়ে কর্মসংস্থানে জোর, ৪টি ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার’ গড়ার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

আরো পড়ুন :- দুঃসংবাদ রাসেলকে নিয়ে, চিন্তায় KKR

এদিকে প্রথম থেকেই DA মামলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বিচারপতি ঋষিকেশ রায়। তাঁর আবার অবসরগ্রহণের দিন আগামী বছর ৩১ জানুয়ারি। তাই সেক্ষেত্রে অবসরের আগে তিনি DA মামলার বিস্তারিত শুনানি করে তার নিষ্পত্তি করে যাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে সকলের মনে। ইতিমধ্যেই আরজি কর মামলার নিষ্পত্তির আগে অবসর নিয়েছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। যা নিয়ে এখন বেশ চিন্তায় সরকারি কর্মীরা। তাই এই আবহে সম্প্রতি DA মামলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়।

কী বলছেন সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়?

তিনি লেখেন, “আইনি দেবীর রূপ পরিবর্তন হয়েছে। দেবীর হাতে তরোয়ালের জায়গায় এবার সংবিধান এসেছে। এতদিন দেবীর চোখ বন্ধ ছিল ফলে DA মামলাটি দৃষ্টি গোচর হয়নি। এবারে আশা করা হচ্ছে, আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৫ সালে DA মামলাটি শোনা হতে পারে।” এর আগে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার এই মামলার সঙ্গে অন্যান্য ভাতার বিষয়টিও যুক্ত হয়েছিল। মামলাটি ‘এক্সটেন্সিভ হিয়ারিং’ পর্যায়ে ছিল। গত ১৫ জুলাই ডিএ মামলার শুনানির পর আদালতের নির্দেশনামায় বলা হয়েছিল, এই মামলার আবেদনের বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন। এবার দেখার পালা সবশেষে কী রায় দেন করে প্রধান বিচারপতি।

#END

Bangla News Dunia Rajib

মন্তব্য করুন