অগ্নিগর্ভ মণিপুরের ইম্ফল উপত্যকা, ভোটপ্রচার বাতিল করে দিল্লি ফিরলেন অমিত শা  

By Bangla news dunia Desk

Published on:

 

Bangla News Dunia, দীনেশ :- নতুন করে উত্তপ্ত মণিপুর। সম্প্রতি মেইতে সম্প্রদায়ের ছ’টি দেহ উদ্ধারের পর থেকেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মণিপুরের ইম্ফল উপত্যকা। আর এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রে ভোটপ্রচারের কর্মসূচি বাতিল করে রবিবার দিল্লি ফিরে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা। গতকাল ইম্ফলে তিন মন্ত্রী এবং ছ’জন বিধায়কের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারী মেইতেদের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের পৈতৃক বাড়িতেও আগুন ধরানো হয়েছে বলে অভিযোগ।

আরো পড়ুন :- দিল্লির ‘খান চকে’র নাম বদলে দিল মোদী সরকার ! জানুন কি হল নতুন নাম ?

জানা গিয়েছে, গত শুক্র এবং শনিবার মণিপুর থেকে ছ’টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। মেইতেদের দাবি, মৃতরা প্রত্যেকেই তাঁদের সম্প্রদায়ের। জিবিরাম এলাকা থেকে তাঁদের অপহরণ করে মেরে ফেলা হয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন তিন মহিলা এবং তিন শিশু। তাঁরা একই পরিবারের সদস্য ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এই হত্যালিলা চালিয়েছে কুকি জঙ্গী গোষ্ঠীর লোকেরা। যদিও মণিপুর সরকারের তরফে উদ্ধার হওয়া দেহের পরিচয় এখন পর্যন্ত সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। ছ’টি দেহ উদ্ধারের পর থেকেই জিরিবাম জেলায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মেইতেইরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে আততায়ীদের।

আরো পড়ুন :- মাত্র ৫ বছরেই কোটিপতি, ২ টাকার এই শেয়ারে রিটার্ন ৬৩১৬২%। বিনিয়োগ করার আগে জেনে নিন

এদিকে, বিক্ষোভ কারীদের আন্দোলনকে দমন করতে মণিপুরের একাধিক এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী এবং অসম রাইফেলসের জওয়ানদের। বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে ছোঁড়া হচ্ছে রবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস। জায়গায় জায়গায় চলছে মেইতিদের পথ অবরোধ। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে লোহার রড ফেলে রাখা হয়েছে। জিরিবাম, ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিমে কার্ফু জারি করা হয়েছে। ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব, বিষ্ণুপুর, চূড়াচাঁদপুর-সহ মোট সাত জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব এবং বিষ্ণুপুর থেকে মোট ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রচুর পরিমানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আরো পড়ুন :- কেমন হবে ট্রাম্প-মোদীর রসায়ন ? জানালেন জয়শঙ্কর

ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। মণিপুরের জিরিবাম এলাকায় কুকি জঙ্গি এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন ১০ কুকি জঙ্গি। কুকিদের দাবি, মৃতরা প্রত্যেকেই সমাজসেবী। এদিকে মেইতেদের অভিযোগ, সেই সময় একদল কুকি জঙ্গি তাঁদের সম্প্রদায়ের তিন মহিলা এবং তিন শিশুকে অপহরণ করে। শনিবার সকালে পুলিশ ১০ জনের দেহ নিয়ে কুকি অধ্যুষিত চুরাচাঁদপুরের দিকে রওনা হলে তাদের ঘেরাও করেন কুকিরা। বিক্ষোভ দমন করতে লাঠি চালায় পুলিশ। তার মধ্যে ছ’জনের দেহ উদ্ধার ঘিরে শুরু হয় মেইতেইদের বিক্ষোভ।

মণিপুর প্রশাসন সূত্রে খবর, শনিবার রাজ্যের পিডব্লিউডি মন্ত্রী গোবিন্দাস কন্ঠৌজাম, বিজেপি বিধায়ক ওয়াই রাধেশ্যাম, বিজেপি বিধায়ক পাওনাম ব্রজেন, কংগ্রেস বিধায়ক টিএইচ লোকশ্বরের বাড়িতে আগুন ধরানো হয়েছে। ফাঁকা বাড়িতে ঢুকে বিক্ষোভকারীরা প্রথমে জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন। তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগ। ইম্ফল পূর্বে লুয়াংশাংবামে মুখ্যমন্ত্রী বীরেনের পৈতৃক বাড়িতে হামলার অভিযোগও উঠেছে।

আরো পড়ুন :- পাহাড়ে কর্মসংস্থানে জোর, ৪টি ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার’ গড়ার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

আরো পড়ুন:- ভূমিকম্পে বাঁচতে পারে কোটি কোটি প্রাণ? ISRO মহাকাশে পাঠাচ্ছে সবচেয়ে পাওয়াফুল স্যাটেলাইট

এই রকম খবর পেতে দয়া করে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন

আরো পড়ুন :- কয়েকশ কোটি ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে ভারতের প্রথম ডেডিকেটেড লাইন, ২৩০ কিমি বেগে ছুটবে ট্রেন

আরো পড়ুন :- আবাস, ১০০ দিনের পর এ বার সর্বশিক্ষা মিশনের টাকাও বন্ধ, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজ্যের

আরো পড়ুন :- রোজ ঝগড়া হয়? সম্পর্ককে ভালো রাখুন ‘৫ সেকেন্ড রুল’ মেনে

 

Bangla news dunia Desk

মন্তব্য করুন