Bangladesh । হাসিনাকে ভারতের কাছে ফেরত চাইবে বাংলাদেশ, ঘোষণা ইউনূসের

Bangla News Dunia, দীনেশ :- ভারতের কাছে হাসিনাকে ফেরত চাইবে বাংলাদেশ। রবিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্ণ হওয়া উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এই কথা জানান। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ আন্দোলনের জেরে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর থেকে তিনি ভারতে আশ্রয়ে রয়েছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ হাসিনাকে হত্যা সহ নানা অপরাধে অভিযুক্ত করে তাঁর বিচার শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার। এরইমধ্যে হাসিনার বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকেও আর্জি জানিয়েছে ইউনূসের সরকার। কিন্তু ইন্টারপোল তা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে এদিন ইউনূস নিজে ভারতের কাছে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে বলে যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। ভারত সেক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের বন্ধু হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

আরো পড়ুন :- দিল্লির ‘খান চকে’র নাম বদলে দিল মোদী সরকার ! জানুন কি হল নতুন নাম ?

WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হন

রবিবার প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিপ্লব চলাকালে প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-শ্রমিক-জনতা শহিদ হন। সরকার প্রতিটি মৃত্যুর তথ্য অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে জোগাড় করছে। এই বিপ্লবে আহত হয়েছেন ১৯ হাজার ৯৩১ জন। আহত ব্যক্তিদের জন্য ঢাকার ১৩টি হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিনই তালিকায় আরও নতুন নতুন তথ্য যোগ হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি হত্যার বিচার আমরা করবই। জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচারের যে উদ্যোগ আমরা নিয়েছি, তার কাজও বেশ ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব।’

আরো পড়ুন :- মাত্র ৫ বছরেই কোটিপতি, ২ টাকার এই শেয়ারে রিটার্ন ৬৩১৬২%। বিনিয়োগ করার আগে জেনে নিন

আরো পড়ুন :- কেমন হবে ট্রাম্প-মোদীর রসায়ন ? জানালেন জয়শঙ্কর

বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন পরিস্থিতি সম্পর্কে মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘নির্বাচনি সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে খুব দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপও পাওয়া যাবে।’ সংস্কারের জন্য নির্বাচন কয়েক মাস বিলম্বিতও করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ইউনূস জানান, তাঁদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর। তাঁরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের মতামত নিচ্ছেন। সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে এসব মতামত অনেকাংশে প্রতিফলিত হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্ধারিত সময়ে ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই সংস্কার কমিশনগুলো তাদের সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করতে পারবে। তাদের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ক্রমাগত আলোচনায় বসবেন। সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতেই সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হবে।