আমির-পুত্র জুনেইদ বাংলায় ঘুরে গেলেন এবং বাংলা সম্পর্কে কি বললেন, পড়ুন বিস্তারিত

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বলিউড সুপারস্টার আমির খানের ছেলে ও অভিনেতা জুনেইদ খানের সোশ্যাল মিডিয়ায় নেই কোনও অ্যাকাউন্ট। দিল্লির মেজর ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়ামে আয়োজিত তিনদিনব্যাপী সাহিত্য আজতক ২০২৪-এর মঞ্চে এসে জুনেইদ খান শোনালেন তাঁর জীবনের এরকমই অনেক অজানা কাহিনী। যা শুনলে অবাক হবেন বইকি। জুনেইদের সঙ্গে এসেছিলেন পরিচালক সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। এই জুটি মিলে কাজ করেছিলেন মহারাজ-এ। যেটা ঘিরে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।

সাহিত্য আজতক ২০২৪-এ এসে জুনেইদ খান বলেন যে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কোনও অ্যাকাউন্ট নেই। শুধু তাই নয়, আমির-পুত্র জানিয়েছেন যে তাঁর ভাল ছবি তুলতে ভাল লাগে না এবং তাঁর এই ছবি তোলার বিশেষ শখও নেই। প্রসঙ্গত, মহারাজ-এর মাধ্যমেই জুনেইদ খান বলিউডে তাঁর ডেবিউ করেন। এরপরই তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে তিনি তাঁর বাবা ও মিস্টার পারফেক্টসনিস্ট আমির খানের থেকে কোনও টিপস পেয়েছিলেন কী? জুনেইদ বলেন, শুরুর দিকে এত টিপস পাইনি। তবে আমি যখন ১৮-১৯ বছরের ছিলাম আর কর্মাস পড়ছিলাম আর আমি তখন বাবাকে বলেছিলাম যে আমি থিয়েটার স্কুলে যাব, আমেরিকায়। বাবা বলেছিলেন অভিনয় আমি যে কোনও জায়গাতেই শিখে নিতে পারি। অভিনয় করতে করতেও শিখে যাব। যেটা তাড়াতাড়ি শিখতে পারবে না তা হল ভারতীয় সংস্কৃতি। আমি সেই সময় হ্যাঁ বললেও পরে আমেরিকা উড়ে গিয়েছিলাম।

 

আরো পড়ুন:– লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক বন্ধু, বিধবা ভাতা সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা পেতে নতুন নিয়ম, না জানলে সমস্যায় পড়বেন

মহারাজ ছবিটি ঘিরে দেশজুড়ে উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল কিন্তু জুনেইদ খান জানতেন যে এই ছবি শেষপর্যন্ত মুক্তি পাবে। আমির-পুত্র বলেন, যখন গুজরাট হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ আসে, আমরা খুব চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু আমরা জানতাম যে সিদ্ধার্থ (পি মালহোত্রা) স্যার খুব যত্ন সহকারে এবং অনেক সম্মানের সঙ্গে ছবিটি তৈরি করেছিলেন। আমি খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে এটি একদিন মুক্তি পাবে। এ প্রসঙ্গে পরিচালক সিদ্ধার্থ গুজরাত হাইকোর্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই ছবিটি খুবই সাবধানে তৈরি করা হয়েছিল। আমি গুজরাট হাইকোর্টকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যে তারা ছবিটি দেখেছে এবং বলেছে যে এটি কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। ছবিটি ভালো; যা আমরা আগে থেকেই জানতাম। এখানে উল্লেখ্য, মহারাজ প্রাথমিকভাবে ১৪ জুন নেটফ্লিক্সে প্রিমিয়ারের জন্য সেট করা হয়েছিল। তবে স্থগিতাদেশ জারির পর অবশেষে ২১ জুন ছবিটি মুক্তি পায়।

নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে জুনেইদ বলেন যে তিনি ঘুরতে পছন্দ করেন। তিনি সম্প্রতি জাপান থেকে ঘুরে এসেছেন। এছাড়াও ইউরোপ তাঁর পছন্দের দেশ। ভারতের মধ্যে পুদুচেরি, দার্জিলিং ও গোয়াতেও গিয়েছেন। জুনেইদ তাঁর মেজাজের ওপর নির্ভর করেন যে তাঁর কখন সমুদ্র বা পাহাড়ে যেতে ইচ্ছে করছে। দিল্লিতে বেশিরভাগ সময়ে জুনেইদ কাজে আসলেও এখানকার খাওয়া-দাওয়া বেশ পছন্দের। তবে বাটার চিকেন ও চাট খেতে বেশি ভালোবাসেন আমির-পুত্র।

 

আরো পড়ুন:কলকাতাতেও বিষাক্ত বাতাস, দায়ী বিরিয়ানিও? পরিবেশবিদরা কি বলছেন, জানুন

এই রকম খবর পেতে দয়া করে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন

আরো পড়ুন :- মণিপুর সংকটের অবসানে চাই হস্তক্ষেপ, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি খাড়গের

আরো পড়ুন :- সরল বাধা, পার্পল লাইনে দুরন্ত গতিতে হবে মেট্রোর কাজ! জোকা-বিবাদী বাগ রুট নিয়ে সুখবর

আরো পড়ুন :- বন্দে ভারতের খাবারে পোকা! অভিযোগ উঠতেই ক্যাটারিং সংস্থাকে ৫০ হাজার ফাইন রেলের

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন