Bangla News Dunia , Rajib : নৈহাটির বড়মার মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মন্দির থেকে পুজো দিয়ে বেরিয়ে এসে তিনি ঘোষণা করেন, নৈহাটিতে বড়মার মন্দিরের কাছে পুলিশ ফাঁড়ি হবে। সামনেই যে ফেরিঘাট তা সংস্কার করা হবে, বড়মার নামেই করা হবে এই ফেরিঘাট। একই সঙ্গে মমতার মুখে শোনা গেল, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময়ের কথা। নৈহাটিতে পার্টি অফিস রং করেছিলেন তিনি।
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আবহে উত্তপ্ত হয়েছিল নৈহাটি-ভাটপাড়া-কাঁচড়াপাড়া-কল্যাণী। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের ‘বাহুবলী নেতা’ অর্জুন সিং সদ্য বিজেপিতে গিয়েছেন। বিজেপির টিকিটে জিতে ব্যারাকপুরের সাংসদ হয়েছেন। রাজ্যে তখন ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১৮টিতে বিজেপির সাংসদ। অভিযোগ ওঠে, সে সময় নৈহাটিতে একের পর এক পার্টি অফিস দখল করে নিচ্ছিল বিজেপির লোকজন। তাদের মারধরে ঘর ছাড়তে হয়েছিল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। এর পরই নৈহাটি পুরসভার সামনে ধর্নায় বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরো পড়ুন :- বড় খবর! রেশন কার্ড বাতিল হল কোটি কোটি মানুষের। নাম দেখতে রেশন কার্ড স্ট্যাটাস চেক করুন এই ভাবে
মঙ্গলবার সেই নৈহাটিতে দাঁড়িয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাস্তার মোড়ে পার্টি অফিসগুলো দেখছিলাম। ৫ বছর আগে বিরাট সন্ত্রাস হয়েছিল। নৈহাটির মানুষের উপর অত্যাচার হয়েছিল। আমি নৈহাটি এসেছিলাম, মিটিং করেছিলাম। এসে দেখি সব পার্টি অফিস দখল, রাতারাতি রং করা হয়ে গিয়েছে। তখন ঘর থেকে একটা লোকও বেরোচ্ছিল না। যে পার্টি অফিসগুলো দখল করে নেওয়া হয়েছিল, আমি নিজে রং করি। আজ দেখলাম সেই অফিসটা।’ তিনি জানান, একটাই লক্ষ্য ছিল, ভাটপাড়া, ব্যারাকপুর, নৈহাটি, কল্যাণীতে শান্তি ফিরে আসুক।
আরো পড়ুন :- সরকার আনছে নয়া PAN কার্ড, তাহলে কি ‘অকেজো’ হল পুরনো কার্ড? জানতে পড়ুন বিস্তারিত
এ দিন শাড়ি, নাড়ু নিয়ে বড়মার মন্দিরে পুজো দিতে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মমতা জানান, বড়মার নামে ফেরিঘাটের নামকরণ হবে। ঘাটের সংস্কারে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। নৈহাটি ও ভাটপাড়া হাসপাতালে ওপিডির জন্য সাংসদ পার্থ ভৌমিকের এমপি ল্যাড থেকে মোট ৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।