এই ৪ টি ব্যাংকের শেয়ার বিক্রি করবে সরকার, OFS এর কথা চলছে, আপনিও কিনতে পারবেন

By Bangla news dunia Desk

Published on:

 

Bangla News Dunia, দীনেশ :- ভারত সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় শীঘ্রই চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে তাদের অংশীদারিত্ব কমানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। Reuters সূত্রের দাবি অনুযায়ী, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া শুরু হবে। 

এদের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির অংশীদারিত্ব নিয়ে কেন্দ্র সরকার অনুমোদন চেয়েছে। এই চারটি ব্যাঙ্ক হল- সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক, ইউকো ব্যাংক এবং পাঞ্জাব এন্ড সিন্ধ ব্যাংক।

কোন ব্যাংকে কত শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে? 

বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (BSE) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন ব্যাংকে বিভিন্ন রকম অংশীদারিত্ব রয়েছে। সেগুলি হল-

  • সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া- ৯৩%
  • ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংক- ৯৬.৪%
  • ইউকো ব্যাংক- ৯৫.৪%
  • পাঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাংক- ৯৮.৩%

অর্থ মন্ত্রণালয় এই ব্যাংকগুলির শেয়ার খোলা বাজারে Offer for Sale (OFS) পদ্ধতির মাধ্যমে বিক্রি করার কথা বিবেচনা করছে।

আরো পড়ুন :- ভারতের একমাত্র রাজ্য যা ৩ দেশ দিয়ে ঘেরা! জনসংখ্যা ৯১ মিলিয়ন

২৫% পাবলিক শেয়ারহোল্ডিং বাধ্যতামূলক 

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI)-এর নিয়ম অনুযায়ী যেকোন তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য ২৫ শতাংশ পাবলিক চেয়ার হোল্ডিং বাধ্যতামূলক থাকতে হবে। তবে সরকারি মালিকাধীন সংস্থাগুলি ২০২৬ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত এই নিয়ম থেকে ছাড় পাবে। 

কবে হবে শেয়ার বিক্রি? 

এখনো পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে শেয়ার বিক্রির নির্দিষ্ট কোন সময়-সীমা ঘোষনা করা হয়নি। তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শেয়ার বিক্রির সময় এবং পরিমাণ সম্পন্ন হবে বাজারের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।

আরো পড়ুন :- বাংলাদেশিদের সামাজিক ভাবে বয়কটের বার্তা অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার !!

QIP-এর মাধ্যমে পুজি সংগ্রহ

সম্প্রতি কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক QIP-এর মাধ্যমে পুজি সংগ্রহ করছে, যার ফলে সরকারের অংশীদারিত্ব কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। 

  • সেপ্টেম্বর ২০২৪- পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক QIP-এর মাধ্যমে ৫০০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। 
  • অক্টোবর ২০২৪- ব্যাংক অফ মহারাষ্ট্র QIP-এর মাধ্যমে ৩৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।

সরকারের উদ্দেশ্য 

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এই পদক্ষেপ ব্যাংকগুলির পুঁজির ভিত্তি মজবুত করার পাশাপাশি বাজারে সরকারের অংশীদারিত্ব কমাতে অনেকটাই সাহায্য করবে। এর ফলে পাবলিক শেয়ারহোল্ডিং বাড়বে এবং রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলিতে শেয়ারের পরিমাণ আরও উন্নত হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে এই পদক্ষেপ ব্যাংকগুলির শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি করতে পারে। তবে বাজারের পরিস্থিতি এবং নিয়োগকারীদের সাড়া পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়ে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ এবং শেয়ার বিক্রির তারিখ এখনো অফিশিয়ালভাবে জানানো হয়নি।

 

Bangla news dunia Desk

মন্তব্য করুন