Bangla News Dunia, অজয় দাস :- প্রায় চারশো বছরের এই পুজো। বাঁকুড়া জেলার ছাতনা গ্রামে মায়ের মন্দির অবস্থিত। এই মন্দিরে মা কালী , কালী রূপেই পুজিত হন। প্রায় চারশো বছর আগে সেখানকার বাসিন্দা বন্দিরাম বন্দ্যোপাধ্যায় এই পুজো শুরু করেন। মায়ের এই পুজোর বেশকিছু নিয়ম রয়েছে।
বাঁকুড়ার এই কালী পুজোর জন্য মায়ের মূর্তি বানানোর জন্য মা মৃৎ শিল্পীকে স্বপ্নে আদেশ দেন। তার পর মায়ের মূর্তি বানানোর কাজ শুরু হয়। যেই দিন মায়ের মূর্তির চক্ষু দান করা হয় , সেই দিন পাঠা বলি দিয়ে তার মাংস রান্না করে মাকে নিবেদন করা হয়।
আরো পড়ুন :- আপনার সময় খারাপ যাচ্ছে ? সুদিন ফেরাতে মানুন কিছু নিয়ম
তবে এখন প্রশ্ন হলো মাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয় কেনো ? সেখানকার লোক মুখে জানা যায় যে একবার মায়ের পুজোর সময় মা দেবী মূর্তি ধারণ করে মণ্ডপ ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন। তার পর থেকেই মাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয় ওই মন্দিরে। বর্তমানে ও মাকে শিকল দিয়ে বেঁধে পুজো করা হয়।
মায়ের পুজোর দিন বহু দূর থেকে ভক্তের সমাগম হয় এই মন্দিরে। এছাড়া ও মায়ের স্বপ্নাদেশ পাওয়ার জন্য বহু মানুষ রাতভর ওই মন্দিরে থাকেন। ওই এলাকায় এই মন্দিরকে জাগ্রত বলে পুজিত হয়।
Highlights:-
১. মা দেবী মূর্তি ধারণ করে মণ্ডপ ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন।
২. পাঠা বলি দিয়ে তার মাংস রান্না করে মাকে নিবেদন করা হয়।
৩. পুজোর দিন বহু দূর থেকে ভক্তের সমাগম হয় এই মন্দিরে।
#banglanews #kalipujo #dewali #banglanewsdunia