জেনে খুশি হবেন, ‘নকল’ দার্জিলিং টি ধরতে অভিনব পদক্ষেপ নিলো রাজ্য

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- দার্জিলিং টি–র মোড়কে নেপালের চা বিক্রি বন্ধ করার লক্ষ্যে উত্তরবঙ্গে দু’টি ল্যাবেরেটরি তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য। সেখানেই গুণগত মান পরীক্ষা করে ধরা হবে ‘নকল’ দার্জিলিং টি। সম্প্রতি রাজ্যের টি অ্যাডভাইজ়রি কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন ঐতিহ্যবাহী দার্জিলিং টি–কে বাঁচাতে পদক্ষেপ করা হবে। তাঁরই নির্দেশ অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ–নেপাল সীমান্ত এলাকায় ও পশ্চিমবঙ্গ–অসম সীমানায় দু’টি ল্যাবেরেটরি তৈরি করা হবে বলে সূত্রের খবর। ‘নেপালের চায়ের রমরমায় আইসিইউ–তে দার্জিলিং টি’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি গত ১ ডিসেম্বর প্রকাশিত হওয়ার পরেই রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ।

আরো পড়ুন:- মাশরুমের উপকারিতা জুরি মেলা ভার ! কি জানালেন পুষ্টিবিদ?

একটি সূত্রের দাবি, ‘নেপালের সস্তা চা দার্জিলিং টি–র নামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে দার্জিলিং টি কার্যত আইসিইউ–তে চলে গিয়েছে। তাই অর্গ্যানিক দার্জিলিং টি–র নামে ইনঅর্গ্যানিক নেপালের চা ধরতে আনুমানিক ৫২ কোটি টাকা খরচ করে দু’টি ল্যাবেরেটরি তৈরি করা হবে। এ জন্য লোকেশন ও জমি চিহ্নিত করে মেশিনপত্রের অর্ডার শীঘ্র দেওয়া হবে বলে আশা করছি।’

চায়ের গুণগত মান ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’ (এফএসএএসএআই)–র নির্ধারিত মানে পৌঁছচ্ছে কি না, তা ওই দু’টি ল্যাবেরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা হবে। দার্জিলিং টি অর্গ্যানিক। তবে নেপালে চা উৎপাদনে কেমিক্যাল সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক। তাই ল্যাবেরেটরিতে পরীক্ষা করলে সহজেই নেপালের চা চিহ্নিত করা যাবে বলে বিশেষজ্ঞজ্ঞমহল আশা করছে।

রাজ্যের এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে ছোট চা–চাষিদের সংগঠন ‘কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’–এর প্রেসিডেন্ট বিজয় গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘ল্যাবেরেটরিতে নেপালে উৎপাদিত নকল দার্জিলিং টি ধরা পড়ে যাবে। নেপালের অর্থোডক্স ও সিটিসি চায়ের জন্য উত্তরবঙ্গের চায়ের বিপুল ক্ষতি হচ্ছে। আমাদের চা–কে বাঁচাতে আগেই এফএসএএসএআই–এর পদক্ষেপ করা উচিত ছিল।’

কার্শিয়াংয়ের নুরবং টি এস্টেটের চেয়ারম্যান সতীশ মিতরুকার মতে, রাজ্যের উচিত পানিট্যাঙ্কি বর্ডারের কাছে ল্যাবেরেটরি তৈরি করা। তাঁর বক্তব্য, ‘ওই বর্ডার দিয়ে নেপালের চা ভারতে ঢোকে। ঢোকার সময় প্রত্যেকটি কনসাইনমেন্ট চেক করে দেখা উচিত এফএসএএসএআই কমপ্লায়েন্ট কি না। যদি সেটা না–হয়, তা হলে ভারতে ওই চা ঢোকার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।’

উল্লেখ্য, নেপালের চায়ের উৎপাদন খরচ দার্জিলিংয়ের থেকে অনেক কম। ফলে, ভারতের অনেক দোকানদার বেশি লাভের জন্য দার্জিলিং টি–র নামে নেপালের চা বিক্রি করছে বলে অভিযোগ। বিশেষজ্ঞমহল ও চা–বাগান মালিকদের দাবি, নেপালের চায়ের জন্যই ভারতের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও গরিমা হারাচ্ছে দার্জিলিং টি। লোকসানের ঠেলায় দার্জিলিংয়ের মোট ৮৭টি চা–বাগানের মধ্যে ১২টি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

আরো পড়ুন:- মাশরুমের উপকারিতা জুরি মেলা ভার ! কি জানালেন পুষ্টিবিদ?

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন