বছরশেষে নজর অতি গভীর সমুদ্রের রহস্য। Wet Test ভারতের সমুদ্রযানের , জানতে পড়ুন বিস্তারিত

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- চাঁদের অভিযান সফল হয়েছে। এ বার লক্ষ্য সমুদ্রের গভীরে। দীর্ঘদিন ধরেই অতি গভীর সমুদ্রের রহস্য উন্মোচনের লক্ষ্য রয়েছে ভারতের। ডিপ সি এক্সপ্লোরেশনের সেই লক্ষ্যেই আরও এক কদম এগোল ভারত। চলতি বছরের শেষ সপ্তাহে সমুদ্রযানের প্রাথমিক পরীক্ষা হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।

সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, চেন্নাই বন্দরে পরীক্ষা করা হবে সমুদ্রযান ‘মৎস্য ৬০০০’-এর। ১৫ মিটার গভীরে প্রাথমিক পরীক্ষা করা হবে। একে পরিকাঠামোগত ভাবে বলা হচ্ছে ওয়েট টেস্ট। সমুদ্রের গভীরে সব প্রতিকূলতা সামলে কতটা কাজ করতে পারবে সমুদ্রযান, আসল অভিযানের আগে সেই সবদিক খতিয়ে দেখার জন্যই করা হবে ‘মৎস্য ৬০০০’-এর wet test।

আরো পড়ুন:- সুখবর! ১৯,৯০০ টাকা বেতন, মাধ্যমিক পাশে ভারতীয় পোস্ট অফিসে প্রচুর কর্মী নিয়োগ! শীঘ্রই এভাবে আবেদন করুন

ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের গভীর সমুদ্র অভিযানের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এই পরীক্ষা হতে পারে। তবে সবটাই নির্ভর করছে আবহাওয়ার পরিস্থিতির উপর।

কোন লক্ষ্যে তৈরি Matsya 6000?

সমুদ্রের ৬ হাজার মিটার গভীরে অনুসন্ধান জানানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে ‘মৎস্য ৬০০০’-কে। অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার জন্য যাবতীয় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও রয়েছে এতে। রয়েছে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম, নেভিগেশনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, স্যাম্পেল কালেকশনের জন্য রয়েছে রোবোটিক আর্মস।

পরের ধাপে যাওয়ার আগে এই ওয়েট টেস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানানো হয়েছে। এটা সফল হলে ২০২৫ সালে অগভীর জলে একবার এর পরীক্ষা হবে। তারপরে ২০২৬ সালে কোনও মানুষ ছাড়াই ডিপ সি-টেস্ট করানো হবে।

২০২১ সালে সমুদ্রযান মিশনের সবুদ সঙ্কেত দিয়েছিল ভারত সরকার। সমুদ্রের সম্পদ এবং বিশেষ করে দুর্লভ খনিজের খোঁজ করবে এই অভিযান। ভবিষ্যতে ৩ জনকে নিয়ে অতি গভীর সমুদ্রে ডুব দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সমুদ্রযানের। অভিযাত্রীদের বাছাই করার প্রক্রিয়া আপাতত চলছে। প্রাথমিকভাবে বাছাইয়ের পরে অত্যন্ত কঠিন একটি প্রশিক্ষণ পর্বের মধ্য দিয়ে যেতে হবে তাঁদের।

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন