প্যারালাইসিসের চিকিৎসায় সেরা ফল দেবে হোমিওপ্যাথি !

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Homeopathy

Bangla News Dunia , Pallab : Paralysis, palsy, paresis, hemiplegia, paraplegia (প্যারালাইসিস, পক্ষাঘাত) : যদিও নিউরোলজিষ্টরা প্যারালাইসিসের অনেক রকমের নাম দিয়ে থাকেন, কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে নাম দিয়া কাম নাই। লক্ষণ অনুযায়ী ঔষধ খান, তাইলেই কাম অইব।

Causticum: নির্দিষ্ট একটি অঙ্গ প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হলে তাতে কষ্টিকাম প্রয়োগ করতে হয়।যেমন – একটি আঙ্গুল বা একটি পা ইত্যাদি। ঔষধ নিম্নশক্তিতে খেলে রোজ দুই-তিন বার করে কয়েক সপ্তাহ খান। আর উচ্চ শক্তিতে খেলে সাতদিন বা পনের দিন পরপর এক মাত্রা করে খান।

আরো পড়ুন :- ডিজিটাল গ্রেফতারির ভয়ে কাঁপছে বিশ্ব, সাইবার বিশেষজ্ঞের থেকে বাঁচার সহজ উপায় জেনে নিন

Mercurius solubilis: মার্ক সল ঔষধটির প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো প্রচুর ঘাম হয় কিন্তুরোগী আরাম পায় না, ঘামে দুর্গন্ধ বা মিষ্টি গন্ধ থাকে, কথার বিরোধীতা সহ্য করতে পারে না, ঘুমের মধ্যে মুখ থেকে লালা ঝরে, পায়খানা করার সময় কোথানি, পায়খানা করেও মনে হয় আরো রয়ে গেছে, অধিকাংশ রোগ রাতের বেলা বেড়ে যায়।রোগী ঠান্ডা পানির জন্য পাগল,ঘামের কারণে কাপড়ে হলুদ দাগ পড়ে যায়ইত্যাদি ইত্যাদি। প্যারালাইসিস প্রথমে শরীরের উপরের অংশে দেখা দেয় এবং পরে ধীরে ধীরে নীচের দিকে যায়।

Asterias rubens : এস্টেরিয়াস রুবেন্স ব্রেন স্ট্রোকের একটি সেরা ঔষধ। এই কারণে ব্রেন স্ট্রোকের পরে যে-সব প্যারালাইসিস হয়, তাদেরও সেরা ঔষধ। বিশেষ করে জিহ্বার প্যারালাইসিস।

Conium maculatum : কোনায়াম প্যারালাইসিসের একটি সেরা ঔষধ। সাধারণত আঘাত পাওয়ার কারণে অথবা অতিরিক্ত খাটুনির কারণে প্যারালাইসিস হলে তাতে কোনায়ামের কথা চিন্তা করা উচিত। কোনায়ামের প্যারালাইসিস প্রথমে নীচে দেখা দেয় এবং পরে আস্তে আস্তে উপরের দিকে যেতে থাকে ।

Agaricus muscarius :একগারিকাস প্যারালাইসিসের একটি প্রধান ঔষধ। সারাক্ষন মাথাঘুরানি, শরীরের বিভিন্ন পেশীতে (বিশেষত চোখের ও মুখের) কম্পন এবং ঝাকুঁনি, ছড়া-কবিতা বানিয়ে বলতে থাকে, শিশুদের মতো ছেলেমানুষি আচরণ, সামনে যাকে পায় চুম্পন করে, রাক্ষুসে ক্ষুধা, ভালো মতো না চিবিয়েই খেয়ে ফেলে, মাথা ঘোরাতে থাকে, পিছনের দিকে পড়ে যাওয়া প্রবনতা, বজ্রপাতের সময় রোগের মাত্রা বেড়ে যায়, পায়ের বুড়ো আঙুলের ফুলা-ব্যথা, ঠান্ডা বাতাসে হাঁটলে রোগের মাত্রা বেড়ে যায় ইত্যাদি লক্ষন থাকলে এগারিকাস প্রয়োগ করুন।

Aconitum napellus : সাধারণত ঠান্ডা বাতাস লেগে মুখে প্যারালাইসিস হলে একোনাইট প্রয়োগ করুন। তবে একোনাইটের লক্ষণ থাকলে যে-কোন ধরনের প্যারালাইসিসেই একোনাইট দিতে পারেন।

Dulcamara : সাধারণত ভেজা, ঠান্ডা, স্যাতস্যাতে ফ্লোরে ঘুমানোর কারণে প্যারালাইসিস হলে ডালকামারা খাওয়াতে হবে। জিহ্বা, ফুসফুস, হৃদপিন্ড, কন্ঠনালী ইত্যাদির প্যারালাইসিসে ডালকামারা প্রযোজ্য।

Lathyrus sativus : কলাই বা খেসারীর ডাল থেকে তৈরী করা লেথিরাস নামক ঔষধটি প্যারালাইসিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ। প্রধানত শরীরের নিম্নভাগের প্যারালাইসিসে এটি ভাল কাজ করে। #End

আরো পড়ুন :- Big News : মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা দখল বিদ্রোহীদের, ভয়ে কাঁটা ইউনূস সরকার

 

 

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন