Bangla News Dunia, দীনেশ :- কেউ বলেন, এমন বন্ধু আর কে আছে! কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমন শত্রুও মানষের খুব বেশি নেই। নিশানায় একটিই পদ—মদ। এর প্রভাব সমাজে মারাত্মক। এহেন ক্ষতিকর নেশা থেকে মানুষকে বাঁচাতে নতুন পথের সন্ধান দিয়েছেন সিডনির এক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। মদ্যপান কমানোর জন্য এক নতুন পদ্ধতি তাঁরা জানিয়েছেন।
অস্ট্রেলীয় বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মদ্যপানের কারণে ক্যানসারের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করার পাশাপাশি প্রতিদিন কতটা মদ্যপান করা হচ্ছে তা হিসাবে রাখার অভ্যাস তৈরি করলে অতিরিক্ত মদ্যপান কমানো অনেকটাই সহজ হয়। অর্থাৎ সুরারসিকরা যখন বুঝতে পারেন, মদ্যপান ক্যানসারের মতো গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে তখন তাঁরা নিজেরাই মদ্যপানের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এর ফলে তখন মদ্যপানের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
আরো পড়ুন :- কল্যাণী AIIMS কর্মী নিয়োগ হচ্ছে, মাসিক বেতন ৩০ হাজার টাকা
বিজ্ঞানীদের মতে, মদ পেটে পড়লে বেশ একটা আনন্দ হয় বটে। কিন্তু অতিরিক্ত মদ্যপান ক্যানসার ছাড়াও হৃদরোগ, হজমের সমস্যা, ডিমেনশিয়া এবং অকাল মৃত্যুর মতো স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়। গবেষণার প্রধান লেখক জর্জ ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথের প্রফেসর সিমোন পেটিগ্রিউ বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় মদ্যপান একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করেছে। এর জেরে দুর্ঘটনা থেকে হতাহত হওয়ার সম্ভাবনার পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী নানাবিধ রোগ, ক্যানসার এবং অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। শুধু অতিরিক্ত মদ্যপায়ীরাই নন, মাঝারি মাত্রার মদ্যপায়ীরাও বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
পেটিগ্রিউয়ের কথায়, ‘মদ্যপানের ক্ষতিকর দিক নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সীমিত সম্পদ ব্যবহৃত হয়। তাই কোন ধরনের জ্ঞানের কথা মানুষকে বেশি প্রভাবিত করতে পারে, তা নির্ধারণ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই জানেন না যে, মদ একটি কার্সিনোজেন বা ক্যানসার সৃষ্টিকারী পদার্থ। তবে শুধুমাত্র এটি জানানোই যথেষ্ট নয়, বরং ঝুঁকি কমানোর জন্য কীভাবে পদক্ষেপ করতে হবে তা-ও জানানো দরকার।’
আরো পড়ুন :- মহাকাশে সামরিক ঘাঁটি গড়বে ভারত, শূন্যে টহল দেবে সেনা
সিডনির ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় তিনটি পর্যায়ে সমীক্ষা করা হয়। প্রথম সমীক্ষায় অংশ নেন ৭,৯৯৫ জন। তাঁদের মধ্যে ৪,৫৮৮ জন তিন সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় সমীক্ষায় অংশ নেন। এরপর আরও তিন সপ্তাহ পরে ২,৬৮৭ জন অংশগ্রহণকারী অংশ নেন তৃতীয় তথা শেষ সমীক্ষায়। গবেষণার ফলাফলে দেখা গিয়েছে, মদ্যপান এবং ক্যানসারের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি মদ্যপানের পরিমাণ সম্পর্কে খেয়াল রাখার অভ্যাস তৈরি করলে মদ্যপানের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
আরো পড়ুন :- মেয়েদের ‘ফুলের মতো’ বললেন খামেনেই ! হিজাব বিতর্কের মাঝে অন্য ছবি ইরানে?