Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ভারত গরমের দেশ। বছরের বেশিরভাগ সময়ই থাকে গরম। রোদে দাঁড়ালে হাত-পা ঝলসে যায়। তা সত্ত্বেও ভারতীয়দের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা যায়। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতের মোট জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশ মানুষ ভিটামিন ডি-এর অভাবে ভুগছে। ৭৯ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং ৭৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার দেহে ভিটামিন ডি-এর অভাব। বাচ্চাদের মধ্যেও ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু এর পিছনে কোন কারণ দায়ী?
অনেকেরই মত, আজকাল দিনের বেশিরভাগ সময়টাই মানুষ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে কাটান। গায়ে একদম রোদ লাগে না। অন্যদিকে এ কথা প্রায় সকলেরই জানা যে, ভিটামিন ডি-এর প্রধান উৎস সূর্যের আলো। কলকাতার বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ রুদ্রজিৎ পাল বলছেন অন্য কথা।এক সাক্ষাৎকারে ডাক্তারবাবু বলেছেন, ‘ভারতীয়দের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির প্রধান কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার না খাওয়া। মূলত ভারতেই বেশিরভাগ মানুষ নিরামিষ খাবার খান। ভিটামিন ডি পাওয়া যায় প্রাণীজ খাবারে।’
আরো পড়ুন:– অ্যামাজন প্রাইম মেম্বারশিপের নিয়মে বদল, আপনার সাবস্ক্রিপশন রয়েছে?
সুস্থ থাকতে গেলে দেহে সমস্ত পুষ্টির পর্যাপ্ত মাত্রা থাকা দরকার। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এ দেশে ছোট থেকে বড় অনেকেই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিতে ভুগছেন। অথচ ভিটামিন শরীরের জন্য অপরিহার্য একটি পুষ্টি। দেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। একটুতেই ঠান্ডা লাগা, ঘন ঘন সর্দি-কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া হাত-পা, জয়েন্টে ব্যথা খুব কমন উপসর্গ। বাতের ব্যথা বাড়ে। এমনকী, ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকলে দেহে হরমোনের ভারসাম্যহীনতাও দেখা দেয়। থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা ওঠানামা করতে পারে। সুতরাং, ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকলে তা নিয়ে ছেলেখেলা না করাই ভালো।
প্রাণীজ খাবারেই সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। কোন-কোন খাবার খাবেন, এই প্রসঙ্গে ডাঃ পাল বলেছেন, ‘দুগ্ধজাত খাবার, যে কোনও মাছ, মাংস, ডিমে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ছোট মাছ খাওয়া যায়। ছোট মাছে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি রয়েছে এবং সেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।’
আরো পড়ুন:– হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা পাকিস্তানের ২০ গুণ বাংলাদেশে, তথ্য বিদেশ মন্ত্রকের
খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি রোদে দাঁড়ানোও জরুরি। সূর্যের আলোই ভিটামিন ডি-এর প্রধান উৎস। দিনের কোন সময়ে রোদে দাঁড়ানো উচিত এবং কতক্ষণে রোদে দাঁড়ালে দেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মিটবে, তা অনেকেরই অজানা। এই প্রসঙ্গে ডাঃ পাল বলেছেন, ‘শীত হোক কিংবা গ্রীষ্ম, দুপুর ২টো থেকে ৩টের মধ্যে রোদে দাঁড়ান। ৩০-৪০ মিনিট দাঁড়াতে হবে।’ কিন্তু রোজ ৩০-৪০ মিনিট দুপুরবেলা রোদে দাঁড়ানো যায় না। গরমকালে তো নয়ই। তাই খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমেই দেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মেটাতে হবে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরো পড়ুন:– বিনামূল্যে রেশন সামগ্রীর সঙ্গে 1000 টাকা পাবেন? বিস্তারিত জানতে পড়ুন