কিউআর কোড স্ক্যান করলেই এন্ট্রি, বড়দিনের মুখে চিড়িয়াখানা দর্শন এ বার আরও সহজ

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ডিসেম্বরের শহরে খাঁচাবন্দি বাঘ-সিংহ-হাতি দেখা এ বার আরও সহজ। অনলাইনে কিউআর কোড স্ক্যান করে টিকিট কাটার ব্যবস্থা শুরু করল আলিপুর চিড়িয়াখানা। শীত পড়তে না পড়তেই মা-বাবার হাত ধরে চিড়িয়াখানায় ভিড় জমাতে শুরু করেছে কচিকাচারা। নয়া এই বন্দোবস্তের ফলে লাইনে দাঁড়ানোর ঝঞ্ঝাট এড়িয়ে অনলাইনে সহজেই টিকিট কেটে দলে দলে মানুষ প্রবেশ করতে পারবেন পশু পাখিদের দুনিয়ায়।

কলকাতার শীতে বরাবরই সেরা ডেস্টিনেশন আলিপুর চিড়িয়াখানা। বাঘ, জেব্রা, হরিণ, গন্ডার, সাপ, হাতি নিয়ে ১২০০-র বেশি পশুপাখি দেখার সুযোগ রয়েছে এখানে। সামনেই বড়দিন। তার পর একে একে বর্ষবরণ এবং নতুন বছরের শুরু। এই সময়টা থিকথিকে ভিড়ের সম্ভাবনা চিড়িয়াখানায়। ছোটদের পাশাপাশি বড়রাও এই সময় চিড়িয়াখানামুখী হন। শীতের দুপুরে ছুটি কাটানোর আনন্দ উপভোগ করতে আগ্রহী থাকলেও অনেক সময়েই ভিড়ে টিকিট কাটার ঝঞ্ঝাটের জন্য প্ল্যান ক্যানসেল করে দেন অনেকে। সে কারণেই কিউআর কোড স্ক্যানের করে টিকিট কাটার সহজ বন্দোবস্ত কর্তৃপক্ষের। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার ঝক্কি থেকে মুক্তি মিলবে এই নয়া উদ্যোগে। সহজেই বাড়িতে বসে টিকিট কেটে ফেলতে পারবেন দর্শকরা। কিউআর কোড স্ক্যান করলেই অনায়াসে হয়ে যাবে বুকিং।

কী ভাবে কাটবেন টিকিট?

অনলাইনে https://kolkatazoo.in/alipore/ ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে টিকিট কাটার বন্দোবস্ত আগে থেকেই রয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানায়। ওয়েবসাইটে ঢুকে ETickets বাটনে গিয়ে টিকিট কাটার অপশন পাওয়া যাবে। সেখান থেকে নির্দিষ্ট তারিখ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। পাঁচ বছরের নীচে শিশুদের জন্য এন্ট্রি ফি ২০ টাকা। পাঁচ বছরের ঊর্ধ্বে সকলের ৫০ টাকা। বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে অ্যাকোরিয়াম। সেটি মাথা পিছু ২০ টাকা এন্ট্রি ফি। অনলাইন পেমেন্টের অপশন সিলেক্ট করার পর UPI সিলেক্ট করলেই স্ক্রিনে কিউআর কোড ভেসে উঠবে। তা স্ক্যান করে সহজেই পেমেন্ট করা যাবে। চিড়িয়াখানার গেটে দাঁড়িয়ে সেই কিউআর কোড স্ক‌্যান কর সহজেই প্রবেশ করা যাবে।

‘ব্লু প্লাক’ পেয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানা, বিষয়টি কী জানেন?

সদ্যই দেড়শো বছর পূর্ণ করেছে আলিপুর চিড়িয়াখানা। সেই উপলক্ষ্যে এক অভিনব আয়োজ করা হয়েছে। এই প্রথমবার মানুষেরা খাঁচায় বন্দি, আর রঙ-বেরঙের পাখিরা বাইরে থেকে উঁকি দিয়ে দেখছে চিড়িয়াখানায়। যা বাড়তি আকর্ষণ হয়ে উঠেছে দর্শকদের কাছে। পাশাপাশি চলতি বছরই চিড়িয়াখানায় গ্রিন অ্যানাকোণ্ডা অতিথি হিসেবে এসেছে।

আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রোজই খোলা থাকছে চিড়িয়াখানা। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঘোরা যাবে চিড়িয়াখানায়।

আরো পড়ুন:– গরমের দেশ ভারত, সূর্যের আলো প্রচুর, তাও দেহে ভিটামিন ডি কম, এর সমাধান বললেন ডাক্তারবাবু, জেনে নিন

আরো পড়ুন:– বাংলার শিল্পায়নে সাফল্যের মূলমন্ত্র কি ? ব্যাখ্যা করলেন অমিত মিত্র।

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন