Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বাংলাদেশে অব্যাহত হিন্দু তথা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন। এ বার নাটোরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় শ্মশানের একটি মন্দিরের সেবাইত তরুণচন্দ্র দাসকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। সেখান থেকে মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই নিয়ে তীব্র নিন্দা জানানোর সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকেও তোপ দেগেছেন কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা মুখপাত্র রাধারমণ দাস।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই সেখানেই নিরবিচ্ছিন্নভাবে হিন্দুদের নির্যাতন এবং হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সেখানের অন্তর্বর্তী সরকারকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ বলেও দাবি করেন রাধারমণ দাস। এখন বাংলাদেশের শ্মশানও নিরাপদ নয় বলেও দাবি করেছেন ইসকনের মুখপাত্র। কবে সেখানে এই নির্যাতন এবং হত্যালীলার শেষ হবে বলেও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
শনিবারই জানা গিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, দিনাজপুর ও নাটোরের বিভিন্ন মন্দির এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে। তার পরেই তরুণচন্দ্র দাসকে হত্যার খবর জানা যায়। সোশ্যাল মিডিয়া ‘এক্স’-এ একটি পোস্ট করে কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় শ্মশানের মন্দিরে হামলার ঘটনায় তিনি হতবাক হয়েছেন। সেই মন্দির থেকে মূল্যবান সামগ্রী লুট করার সঙ্গেই সেখানের সেবাইতকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
বাংলাদেশের পুলিশের দাবি এটা একটা ডাকাতির ঘটনা। কিন্তু তা মানতে রাজি নন রাধারমণ। সেখানে ডাকাতি এবং হিংসার ঘটনাটি শুধুমাত্র হিন্দুদের লক্ষ্য করেই হচ্ছে। এই রকম ঘটনার শেষ কবে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বাংলাদেশের পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন রাধারমণ।
আরো পড়ুন:– বাংলার শিল্পায়নে সাফল্যের মূলমন্ত্র কি ? ব্যাখ্যা করলেন অমিত মিত্র।
নাটোরের মন্দিরের সেবাইত এবং সেখানের বিভিন্ন মন্দিরে হামলা এবং বিগ্রহ ভাঙচুর করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদও। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে তাদের শাস্তি দেওয়ার জানিয়েছে তাঁরা।
শুক্রবারই, ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, চলতি বছরেই বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ২২০০টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এইভাবে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিদেশমন্ত্রক। যদিও ইউনূসের প্রেস উইং এই তথ্যকে ‘বিভ্রান্তিকর এবং অতিরঞ্জিত’ বলে দাবি করেছে। তারা জানিয়েছে, চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত সেখানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনার সংখ্যা ১৩৮টি। অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করছে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানানো হয়েছে।