Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বাগান বা ব্যালকনির গাছপালার যত্ন তো প্রায়ই নেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকায় ইন্ডোর প্ল্যান্টগুলির খেয়াল রাখতে অনেকে ভুলে যান। বিশেষ করে শীতকালে ঘরের ভিতরের গাছপালার যত্ন নেওয়া খুব দরকার। এই সময় ঠান্ডা আবহাওয়া, হালকা রোদ, আর্দ্রতার মাত্রা ওঠানামার কারণে ঘরের ভিতরের গাছগুলি উপর চাপ পড়ে সবচেয়ে বেশি। তাই প্রয়োজন বাড়তি যত্নের। আর যত্ন নিতে পারেন এই নিয়মে।
জলের সময়সূচী
শীতকালে গৃহমধ্যস্থ গাছগুলির বৃদ্ধি ধীর গতিতে হয় বলে, সাধারণত কম জলের প্রয়োজন হয়। সূর্যালোক এবং তাপমাত্রা কম থাকায় মাটির জল শুকোতেও সময় নেয়। তাই অতিরিক্ত জলের প্রয়োজন হয় না। অত্যধিক জলে গাছের মূল পচে যায়। তাই শীতে ইন্ডোর প্ল্যান্টে নির্দিষ্ট সময় অন্তর জল দিন।
পর্যাপ্ত আলো সরবরাহ
শীতের মাসগুলিতে দিনের আলো তুলনামূলক কম থাকায় ইন্ডোরপ্ল্যান্টের অসুবিধা হয়। বিশেষ করে এই সময় মানি প্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা এবং স্পাইডার প্ল্যান্টের মতো গাছের উজ্জ্বল এবং সরাসরি সূর্যালোক প্রয়োজন হয়। পর্যাপ্ত আলো না পেলে, এগুলির পাতা ঝরে যেতে পারে এবং নতুন পাতা গজানো বন্ধ হয়ে যেতে পারেন। দক্ষিণমুখী জানলা দিয়ে সাধারণত সবচেয়ে বেশি সূর্যালোক আসে, তাই এই জানলার কাছেই ইন্ডোর প্ল্যান্টগুলি রাখুন।
আর্দ্রতার মাত্রা বৃদ্ধি
বাইরের তুলনায় ঘরের ভিতরের আবহাওয়া গরম হলে তা ইন্ডোর প্ল্যান্টের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। এর ফলে পাতা ঝরে যাওয়া, পাতার চার ধার বাদামি হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। আর্দ্রতা বাড়ানোর একটি সহজ উপায় হলো, গাছের কাছে জল এবং নুড়ি ভর্তি একটি অগভীর ট্রে রেখে দিন। জল বাষ্পীভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি নিকটবর্তী অঞ্চলের আর্দ্রতা বাড়াবে।
তাপমাত্রার ওঠানামার দিকে নজর
গাছপালা সাধারণত ১৫-২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মধ্যে ভালো থাকে। দিনের বেলা সমস্যা বিশেষ না হলেও, রাতের বেলা অনেক জায়গাতেই সমস্যা হতে পারে। তাই তাদের এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে তাপমাত্রার সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে, সরাসরি তাপ বা ঠান্ডা কোনওটিই থাকে না। ইন্ডোর প্ল্যান্টকে কাঁচের জানালা থেকে দূরে রাখুন।
শীতকালে সার দেওয়া এড়িয়ে চলুন
শীতকালে গাছ ভারী খাবার সহ্য করতে পারে না। তাই শীতের মাসগুলিতে, বিশেষ করে ঘরের ভিতরে রাখা গাছগুলির বৃদ্ধি খুব ধীর গতিতে হয়। ফলে তাদের কম পুষ্টির প্রয়োজন হয়। তাই এই সময়ে সার প্রয়োগ করলে মাটিতে অতিরিক্ত পুষ্টি উপাদান তৈরি হতে পারে, যা শিকড়ের ক্ষতি করতে পারে।
আরো পড়ুন:– সবুজ হচ্ছে ভারত, দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে বনাঞ্চল, কোন রাজ্যে সবথেকে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে জানুন
আরো পড়ুন:– ভারতীয়দের প্রিয় পানীয়কে এতদিনে ‘স্বাস্থ্যকর’ বলে অনুমোদন দিল US FDA