Bangla News Dunia, Pallab : সামনেই ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। তাই এখন থেকেই নানা প্রস্তুতি নিতে চলেছে শাসকদল থেকে শুরু করে বিরোধী দলগুলি। সেকারণে দলের অন্দরে ভুল ত্রুটিগুলো ভালো করে চিহ্নিত করে সেগুলি পুনরায় মেরামত করা হচ্ছে। একই চিত্র ফুটে উঠেছে গেরুয়া শিবিরে। বাংলায় একের পর এক নির্বাচনে হতাশাজনক ফল ছাব্বিশের আগে ব্যাপক চিন্তায় রেখেছে বঙ্গ বিজেপিকে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে শুধুই হারতে হয়েছে শুভেন্দুর দলকে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭টি আসন জিতেছিল বিজেপি। যা এখন ৬৬ সংখ্যায় নেমে এসেছে। পুরসভা, পঞ্চায়েত, লোকসভা এমনকী উপনির্বাচন গুলিতেও জিততে পারেনি গেরুয়া শিবির। তাই এবার পুরোনো প্রার্থীদের ওপরেই ভরসা রাখছে দল।
আরো পড়ুন:– সবুজ হচ্ছে ভারত, দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে বনাঞ্চল, কোন রাজ্যে সবথেকে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে জানুন
বিজেপির হাল ফেরাতে এবার দিলীপ ভরসা
সূত্রের খবর, বঙ্গ বিজেপি এইমুহুর্তে চাইছে ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে দলকে কঠিন এবং শক্তিশালী রূপে ফের মাঠে নামাতে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপর ভরসা রাখুক। কারণ, এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বঙ্গ বিজেপি নির্বাচনের ময়দানে লড়ে সর্বাধিক আঠারোটি আসন পেয়েছিল। যেটা এখনও পর্যন্ত বঙ্গে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু এই জয়ের পরেও দিলীপকে কার্যত কোণঠাসা করা হয়েছিল বঙ্গ বিজেপিতে। যেটা সবচেয়ে বড় ভুল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে দলের কাছে। তাইতো পুরোনোদের সক্রিয় করে তুলতে ফের দিলীপ ঘোষকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে বলা হয়েছে।
ফিরবে পুরোনো সক্রিয় নেতা
একই সঙ্গে দলে দিলীপ ঘোষের সক্রিয় ভূমিকা পুনরায় ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে দলে আরও কিছু পুরোনো মুখ এবার নতুন করে নির্বাচনের ময়দানে ফিরে আসতে চলেছে। যাঁদের মধ্যে অন্যতম হল সায়ন্তন বসু ও রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ এই দুই নেতার বিরাট দাপট ছিল, কিন্তু সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবিরের একাংশ সায়ন্তনকে দূরে সরিয়ে দেয়। পাশাপাশি রাজুকেও দলীয় বৈঠকে বা কর্মসূচিতে ডাকা হয় না। এছাড়াও কোণঠাসাদের তালিকায় রয়েছে রাজকমল পাঠক-সহ একাধিক প্রাক্তন জেলা সভাপতি। উপর মহল থেকে নির্দেশ এসেছে যে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে যেন দিলীপ ঘোষ নিয়মিত নামে।
অন্যদিকে ছাব্বিশর নির্বাচনের আগে, ধাপে ধাপে রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক বদলের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। নতুন বছর পড়তেই জানুয়ারি থেকেই বুথস্তর থেকে শুরু হচ্ছে সাংগঠনিক নির্বাচন। বুথ, মণ্ডল, জেলা সভাপতি নির্বাচন হবে। তখনই দলের রাজ্য সভাপতি নির্বাচন।