Bangla News Dunia , Pallab : বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (Dearness allowance) এবং DR এর পরিমাণ বাড়িয়েছে। চলতি বছর দীপাবলিতেই সেই বাড়তি মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা করা হয়েছিল। ৫০ থেকে ৫৩ শতাংশে পৌঁছেছে DA এবং DR এর পরিমাণ। বর্তমানে সপ্তম পে কমিশনের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীরা টাকা পাচ্ছেন। কিন্তু এই আবহে গত কয়েক মাস ধরেই অষ্টম বেতন কমিশনের দাবিতে সরব রয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। সকলেই এই অষ্টম পে কমিশনের জন্য অপেক্ষা করছেন। কারণ এই পে কমিশন কার্যকর হলে কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের বেতন আরও বাড়বে। এবং পেনশনভোগীরাও নানা সুযোগ সুবিধা পাবেন। কিন্তু সেই আশায় এবার ইতি টানল কেন্দ্রীয় সরকার।
আরো পড়ুন :- ‘আমি যতদিন সভাপতি ছিলাম, পার্টি হু হু করে বেড়েছে’ কাকে ইঙ্গিত করে এমন বললেন দিলীপ ঘোষ ?
কর্মচারীদের দক্ষতার উপর নির্ভর করবে বেতনবৃদ্ধি?
আশা করা হয়েছিল যে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটেই এই অষ্টম পে কমিশনের কথা ঘোষণা করা হবে। এমনকি এর আগেও এই অর্থবর্ষের বাজেটে ক্যাবিনেট সচিব এবং অর্থমন্ত্রকের সচিবের কাছে কর্মী সংগঠন এই দাবি জানিয়েছিল। অনেকবার এই নিয়ে সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। এবার সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এখনই বেতন কমিশন তৈরির কোনও পরিকল্পনা করছে না সরকার। আর তাতেই কর্মচারীদের দক্ষতা বা মুদ্রাস্ফীতির সূচকের উপর নির্ভর করে বেতনবৃদ্ধির জল্পনা শুরু হয়ে যায়। সেই আভাসও পাওয়া যায় কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের অন্দরমহলে।
আরো পড়ুন :- পাকিস্তান থেকে জাহাজ ভর্তি পণ্য পৌঁছাল বাংলাদেশে, জানুন কী কী আমদানি করা হল ?
দূর হবে কাজের ঢিলেমি এবং পদোন্নতির অভিযোগ
সাধারণত বেতন কমিশন প্রতি ১০ বছর অন্তর পরিবর্তিত হয়। এর ফলে বেতনবৃদ্ধির জন্য কর্মীদের আরও এক দশক অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে যদি কর্মচারীদের দক্ষতা বা মুদ্রাস্ফীতির সূচকের উপর নির্ভর করে বেতনবৃদ্ধি করা হয়, তাহলে মন্দ হয়না। এর ফলে একাধিক সমস্যা আবার সমাধানও হবে। যার মধ্যে অন্যতম হল কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি। মূলত পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেই সরকারি কর্মচারীদের কাজ করতে হয় দফতরে। কিন্তু অনেকসময় আমজনতার অভিযোগ থাকে বহু সরকারি কাজ থেমে থাকে ফাইলের ওলট পালট এর কারণে। একপ্রকার ঢিলেমিতেই সমস্ত কাজ আটকে যায়। সেক্ষেত্রে কর্মীদের দক্ষতার ভিত্তিতে বেতনবৃদ্ধির নতুন ব্যবস্থা চালু হলে এই সমস্যার সমাধান হবে। তখন কর্মীদের কাজের দ্রুততা বাড়বে। দূর হবে পদোন্নতির অভিযোগও।
যদিও এই নয়া ব্যবস্থা চালু হওয়ার পিছনে একাধিক অসুবিধাও রয়েছে। স্বজনপোষণের রিপোর্ট পেশের ক্ষেত্রে নিচুতলার সরকারি কর্মচারীদের থেকে বেশি সুযোগ-সুবিধা আদায় করার সুবিধা পেয়ে যাবে উচ্চ পদস্থ অফিসার শ্রেণি। তেমনই সরকারি চাকরিতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে তফসিলি জাতি এবং উপজাতিরা কিছুটা ছাড় পেয়ে থাকেন। তার জন্য সংসদে পাশ করাতে হবে নতুন আইন। তবে সেক্ষেত্রে আর্থিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এর মাধ্যমে বেসরকারি সংস্থার কর্মী এবং সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে একটা সামঞ্জস্য আনা সম্ভব হবে।