Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- মা ললিতা দুবের বয়স ৮০ পেরিয়েছিল। বয়সের ভারে তিনি ছিলেন শয্যাশায়ী। এই অবস্থায় তাঁকে ঘরে তালাবদ্ধ করে, বউ-বাচ্চা নিয়ে বেড়াতে চলে গিয়েছিলেন তাঁর বড় ছেলে, অরুণ। ফিরে এসে দেখেন খিদেয়-তৃষ্ণায় সেই বিছানাতেই মায়ের মৃত্যু ঘটেছে। মর্মান্তিক এই ঘটনা মধ্যপ্রদেশের ভোপাল শহরের নিশাতপুরা এলাকার। ছোটো ছেলে অজয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার উপযুক্ত ধারা এবং বাবা-মা ও প্রবীণ নাগরিকদের রক্ষণাবেক্ষণ ও কল্যাণ আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় অরুণের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
নিশাতপুরা এলাকার ওই বাড়িতে বড় ছেলে অরুণ ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে থাকতেন অশীতিপর ললিতা দুবে। কাজের সূত্রে ইন্দোরে থাকেন আরেক ভাই অজয়। সম্প্রতি, শয্যাশায়ী মাকে ঘরে রেখে, বাইরে থেকে তালা দিয়ে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে উজ্জয়িনীতে বেড়াতে গিয়েছিলেন অরুণ।
আরো পড়ুন:– দুর্ঘটনা রুখতে যান চলাচলে নতুন নিয়ম আনলো রাজ্য, বিস্তারিত জানুন
পরে তিনি ভাই অজয়কে ফোন করে জানান, মা-কে ওই অবস্থায় ফেলে তাঁরা বেড়াতে এসেছেন। এর পরই মা-কে নিয়ে উদ্বিগ্ন অজয় ভোপালে তাঁর এক বন্ধুকে ফোন করেছিলেন। তাঁকে বলেছিলেন মা কেমন আছে দেখতে। সেই বন্ধুটি তাঁদের বাড়ি গিয়ে ললিতা দুবের প্রাণহীন দেহ আবিষ্কার করেন।
এর পর অজয় খবর দেন পুলিশে। ভোপাল পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করতে পাঠায়। ময়নাতদন্তে জানা যায়, ললিতার মৃত্যুর কারণ ‘তীব্র ক্ষুধা এবং জলশূন্যতা’। অর্থাৎ, খাবার আর জল না পেয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
এর পরই, দাদার নামে পুলিশে অভিযোগ করেন অজয়। অরুণের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা প্রাসঙ্গিত ধারা অধীনে অনিচ্ছাকৃত হত্যা এবং বাবা-মা এবং প্রবীণ নাগরিকদের রক্ষণাবেক্ষণ ও কল্যাণ আইনের অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
ভোপাল পুলিশের ইন্সপেক্টর রূপেশ দুবে বলেছেন, ‘ললিতা দুবে যে না খেতে পেয়ে মারা গিয়েছেন, ময়না-তদন্তের রিপোর্টে সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। অসুস্থতার কারণে, তিনি বিছানা থেকে উঠতে পারতেন না। অন্তত ২৪ ঘন্টা তিনি কিছু খাননি, জল পান করেননি, ওষুধপত্রও কিছু খাননি। শেষ পর্যন্ত তাঁর মৃত্যু হয়।’
আরো পড়ুন:– শুধু UK-তেই ৮৫টি শরিয়া আদালত, কী বদল হচ্ছে ব্রিটেনে?