Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ভোরে আলো ফোটার আগেই সিকিমের বর্জ্য শিলিগুড়ি ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলার সময় তিনটি গাড়ি আটক করলেন পুরনিগমের কর্মীরা। মঙ্গলবার সকালে গাড়ি তিনটিকে আটক করা হয়। এরপরে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের নির্দেশ ওই তিনটি গাড়িকে বাজেয়াপ্ত করে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ।
পুরো বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানিয়েছেন মেয়র। সিকিম সরকারের এই কাজের কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন। নিজেদের বর্জ্যমুক্ত রাজ্য দেখাতে সিকিম সরকার এই কাজ করছে বলে অভিযোগ তাঁর। এ নিয়ে মঙ্গলবার শিলিগুড়ি পুরনিগমে সাংবাদিক বৈঠকে গৌতম বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে চুপিসারে সিকিম সরকার সমস্ত মেডিকেটেড বর্জ্য এবং সাধারণ বর্জ্য শিলিগুড়িতে এনে ফেলছে। এর আগেও স্থানীয়রা এরকম একটি গাড়ি ধরেছিল। আমি রাজ্য সরকারকে বিষয়টি জানিয়েছি। আমাদের রাজ্য থেকে যাতে সিকিম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় সেই বিষয়ে আবেদনে জানানো হয়েছে।’
আরো পড়ুন:– দুর্ঘটনা রুখতে যান চলাচলে নতুন নিয়ম আনলো রাজ্য, বিস্তারিত জানুন
এর আগেও একাধিকবার অভিযোগ উঠেছিল যে, বাইরের বর্জ্য এনে শিলিগুড়ির ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলা হয়। মাসখানেক আগে ডাম্পিং গ্রাম সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা দু’টি সিকিম নম্বরের লরি আটক করেছিল। ওই লরি দু’টিতে সিকিমের মেডিকেটেড বর্জ্য ছিল। শিলিগুড়ির ডাম্পিং গ্রাউন্ডে সেগুলি ফেলার পরিকল্পনা ছিল।
বিষয়টি শিলিগুড়ি পুরনিগমের নজরে আসতেই পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। সেই সময় লরি দু’টিকে আটক করা হয়েছিল। এরপর থেকে ডাম্পিং রাউন্ড এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছিল শিলিগুড়ি পুরনিগম। গোটা এলাকা ঘিরে দিয়ে লকগেট বসানোরও কাজ শুরু হয়েছে। নজরদারি বাড়াতে এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা রক্ষীও নিয়োগ করেছে পুরনিগম। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমেও নজর রাখা হচ্ছে। তাতেও সিকিমকে বর্জ্য ফেলা থেকে রোখা যাচ্ছে না।
আরো পড়ুন:– শুধু UK-তেই ৮৫টি শরিয়া আদালত, কী বদল হচ্ছে ব্রিটেনে?
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ পুরনিগমের নিরাপত্তারক্ষী এবং পুরকর্মীরা ডাম্পিং গ্রাউন্ড এলাকায় গাড়ির শব্দ শুনতে পান। এত সকালে কোন গাড়ি এসেছে, তা দেখতে গিয়ে কর্মীরা দেখতে পান একটি সিকিম নম্বরের এবং দু’টি আমাদের রাজ্যের নম্বরের গাড়ি সাধারণ বর্জ্য এবং মেডিকেটেড বর্জ্য নিয়ে এসে ফেলছে। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি তিনটি আটক করে চালক এবং সহকারি চালকদের আটকে রাখা হয়। এরপর খবর যায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের মেয়র পারিষদ মানিক দের কাছে।
খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। সেখান থেকেই মেয়রকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়। গৌতম দেব সঙ্গে সঙ্গে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধাকরের সঙ্গে যোগাযোগ করে লরিগুলির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন। সেই মতো ভক্তিনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লরি ও চালকদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে শিলিগুড়ি পুরনিগমের পক্ষ থেকে ভক্তিনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এ বিষয়ে সিকিম সরকারের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।