Bangla News Dunia, দীনেশ :- ভারতীয়দের (Indian nationals) ভিসা ছাড়াই অবৈধভাবে কানাডার সীমান্ত (Canada-US border) দিয়ে আমেরিকায় পাঠাচ্ছে একটি চক্র। আর সেটিরই তদন্তে নেমেছে ইডি (ED)। ইতিমধ্যেই এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কানাডার কয়েকটি কলেজ (Canadian colleges) ও ভারতীয় সংস্থা ইডির নজরে রয়েছে।
২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি গুজরাটের এক পরিবাররের মৃত্যু হয় কানাডা-আমেরিকা সীমান্তে। অবৈধভাবে আমেরিকার প্রবেশ করার সময় কানাডা-আমেরিকা সীমান্তে কনকনে ঠান্ডায় মৃত্যু হয় তাঁদের। এরপরই ভবেশ অশোকভাই প্যাটেল ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতীয়দের কানাডা সীমান্ত দিয়ে আমেরিকায় পাঠানোর চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। তাঁদের বিরুদ্ধে আহমেদাবাদে মামলা দায়ের হয়। এরপরই প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-এর অধীনে তদন্তে নামে ইডি।
আরো পড়ুন :- ‘আমি যতদিন সভাপতি ছিলাম, পার্টি হু হু করে বেড়েছে’ কাকে ইঙ্গিত করে এমন বললেন দিলীপ ঘোষ ?
ইডির তদন্তে উঠে এসেছে, যারা অবৈধভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করতে চাইতেন, তাঁদের প্রথমে কানাডার কিছু কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেওয়া হত। এরপর স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে তাঁদের কানাডায় পাঠানো হত। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পর কলেজে ভর্তি করানোর বদলে কানাডা সীমান্ত দিয়ে বেআইনিভাবে পাঠানো হত আমেরিকায়। এই চক্রের মাধ্যমে আমেরিকায় প্রবেশ করতে চাওয়া ভারতীয়দের থেকে ৫৫-৬০ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হত বলে জানা গিয়েছে।
আরো পড়ুন :- পাকিস্তান থেকে জাহাজ ভর্তি পণ্য পৌঁছাল বাংলাদেশে, জানুন কী কী আমদানি করা হল ?
গত ১০ এবং ১৯ ডিসেম্বর মুম্বই, নাগপুর, গান্ধিনগর এবং ভদোদরার আটটি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডির আধিকারিকেরা। তাতে মুম্বইয়ের দু’টি সংস্থা এবং নাগপুরের একটি সংস্থার এই অবৈধ চক্রের সঙ্গে যোগ পাওয়া গিয়েছে। ইডির দাবি, ভারতজুড়ে প্রায় ৩৫০০ এজেন্ট জড়িত রয়েছেন এই চক্রের সঙ্গে। তাঁদের মধ্যে ১৭০০ জন এজেন্ট শুধুমাত্র গুজরাটেই রয়েছেন। বর্তমানে প্রায় এদের মধ্যে অন্তত ৮০০ সক্রিয় এজেন্ট রয়েছেন।
আরো পড়ুন :- ‘বাংলাদেশের চিঠি পেয়েছি’, জানুন হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে কী বলল কেন্দ্র ?