Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ দেখলে বহু মহিলারই হৃদয় ফসকে যায়। ‘অ্যানিম্যাল’ ছবির দৌলতে অ্যাংরি ইয়ং ম্যান-এর ২.০ ভার্সান জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যাকে অ্যালফা মেল হিসেবে চিনে নিয়েছে দর্শক। কিন্তু এই ‘আলফা’ ছাড়াও আর এক ধরনের পুরুষ রয়েছে, যার নামডাক বাড়ছে নেটদুনিয়ায়। তারা হল ‘সিগমা মেল’। আলফা, বিটা, গামা, ওমেগা, ডেল্টা ছাড়াও চর্চায় এখন এই সিগমা মেল। অনেকের কাছে খুব স্পষ্ট এর অর্থ। আবার কেউ বুঝতেই পারেন না, আসলে কারা ‘সিগমা মেল’।
আচরণ, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও স্বভাবের উপর ভিত্তি করে পুরুষদের কয়েকটি দলে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। তার মধ্যে ‘সিগমা’ এখন ট্রেন্ডে। যে সব পুরুষ স্বাধীন, স্বনির্ভর, আত্মবিশ্বাসী, অন্তর্মুখী (ইন্ট্রোভার্ট), তাঁরাই সিগমা মেল। এরা খুব বেশি সমাজের পরোয়া করে না। বরং, নিজের শর্তে, নিজের মতো করে জীবন কাটাতে পছন্দ করে। মানুষের সঙ্গেও খুব বেশি মেলামেশা করতে পছন্দ করে না। আলফা মেলের একদম বিপরীত বৈশিষ্ট্যের হয় সিগমা পুরুষ।
আরো পড়ুন:– ভারতীয় অর্থনীতি, ব্যবসা, শিল্পোদ্যোগের জন্য কেমন ছিল 2024 ? বিস্তারিত জানুন
একা থাকা
সিগমা পুরুষেরা একা থাকতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। এমন নয় যে তারা একাকিত্বে ভোগে বা কারও সঙ্গে মিশতে পছন্দ করে না। তাঁদের বৈশিষ্ট্যটাই একা থাকা। কারও বিষয়ে কোনও মন্তব্য না করাই তাঁদের স্পেশালিটি। এই ধরনের মানুষেরা নিজেকে নিয়েই ভালো থাকে। নিজের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি যত্নশীল হয়। খুব বেশি অন্য মানুষের কথা ভাবে না, কেয়ারও করে না।
কথা শোনে
সিগমা পুরুষ সামাজিক ভাবে বিচ্ছিন্ন। কিন্তু এমন নয় যে, কারও সঙ্গে কথা বলে না। বরং এই ধরনের পুরুষ মন দিয়ে অন্যের কথা শোনে। আপনি যদি আপনার মনের কথা শেয়ার করার মানুষ খোঁজেন, সিগমা পুরুষের কথা ভাবতে পারেন। এই ধরনের পুরুষেরা মন দিয়ে আপনার কথা শুনবে এবং আপনার বিষয়ে কোনও ভুল মনোভাব পোষণ করবে না। মন্তব্যও করবে না।
ঝুঁকি নেয়
সিগমা পুরুষ মনে করে ‘রিস্ক হ্যায় তো ইস্ক হ্যায়’। যা কিছু বাধা-বিপত্তি আসুক, এরা তার মোকাবিলা করবেই। জীবনে ঝুঁকি নিতে এরা কখনওই পিছু পা হয় না। তবে সমাজের কথাও খুব একটা ভাবে না। নিজের যেটা ঠিক মনে হয়, নৈতিক মনে হয়, সেটাই করে।
মিনিমালিস্ট
অল্পতেই খুশি সিগমা মেল। এই ধরনের পুরুষ খুব ইন্ট্রোভার্ট। খুব বেশি মানুষের সঙ্গে কথা বলে না। নিজের ইচ্ছে, স্বপ্ন সম্পর্কেও কারও সঙ্গে আলোচনা করে না। একই সঙ্গে, বিলাসবহুল জীবনযাপনে বিশ্বাসী নয়। আত্মপ্রচারও করে না। এই ধরনের মানুষেরা যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে গভীর চিন্তাভাবনা করে। তা ছাড়া এরা নিজের মতো জীবন কাটায়।
আরো পড়ুন:– পৃথিবী গোলাকার নয়, প্রমাণ করতে গিয়ে ৩১ লক্ষ টাকা খোয়ালেন ইউটিউবার, কিভাবে ? জানুন
আরো পড়ুন:– কলকাতার বসু বিজ্ঞান মন্দিরে অনন্য গবেষণা, বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলেন বাঙালি বিজ্ঞানীরা