Bangla News Dunia, দীনেশ :-প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে (Primary Teacher Recruitment Scam) সব থেকে বেশি টাকার দুর্নীতি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মাধ্যমে হয়েছে। পঞ্চম অতিরিক্ত চার্জশিটে এমনটাই দাবি করেছে ইডি। এঁদের দুজনের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির মোট পরিমাণ ১০৩ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা। এই সম্পত্তি ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শুধু পার্থ-অর্পিতা নন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ও তাঁর পরিবারের মোট ৭ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার হদিস পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরো পড়ুন :- ‘বাংলাদেশের চিঠি পেয়েছি’, জানুন হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে কী বলল কেন্দ্র ?
সম্প্রতি ইডির জমা দেওয়া চার্জশিটে ২৮টি সংস্থা, ট্রাস্ট, ফার্ম ও বিভিন্ন ব্যক্তিকে মিলিয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রাথমিকের নিয়োগ মামলায় ১৫১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি ইডির (ED)।
বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তি মিলিয়ে এই মামলায় মোট অভিযুক্ত ৫৪। বিভিন্ন সময়ে তল্লাশি করে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের থেকে কোটি কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। কুন্তল ঘোষ, অয়ন শীল, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো এজেন্টরা চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা তুলেছিলেন। কুন্তল, শান্তনু ও অয়নের থেকে মোট ১৫ কোটি ৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। এমনকি ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার অধীনে থাকা ৭ কোটি ৪৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৪২ টাকা মূল্যের ৮টি সম্পত্তি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার অস্থাবর সম্পত্তির মাধ্যমেও দুর্নীতি হয়েছে। তা বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
আরো পড়ুন :- পাকিস্তান থেকে জাহাজ ভর্তি পণ্য পৌঁছাল বাংলাদেশে, জানুন কী কী আমদানি করা হল ?
কালীঘাট রোডে ৭টি সম্পত্তি ও ডায়মন্ড হারবারের আমতলা মৌজায় একটি ৫ তলা বাড়িও ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর অধীনে রয়েছে বলে দাবি ইডির। এছাড়াও ‘ইম্প্রোলাইন কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড’ নামক সংস্থার নামও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। ইডির দাবি, এই সংস্থার মাধ্যমে পার্থ টাকা বিনিয়োগ করতেন।
এই সংস্থা থেকে ১৩ কোটি ৫৪ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬৭৭ টাকা দুর্নীতি হয়েছে। ‘এস বসু অ্যান্ড রায়’ কোম্পানির মাধ্যমেও টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে উল্লেখ ইডির।
আরো পড়ুন :- ‘আমি যতদিন সভাপতি ছিলাম, পার্টি হু হু করে বেড়েছে’ কাকে ইঙ্গিত করে এমন বললেন দিলীপ ঘোষ ?