Bangla News Dunia, দীনেশ :- আগামী সপ্তাহের বুধবারেই এক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে চলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল (TMC)। দলীয় স্তরেই এই পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে তৃণমূলকে। দলের সাংগঠনিকস্তরে রদবদল নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে চলা টানাপোড়েন আদৌ বন্ধ হবে, নাকি চলতেই থাকবে তা ওইদিনেই কিছুটা স্পষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এটাই বিশ্বাস তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের একটা বড় অংশের। দলে রদবদলের লাগাতার টানাপোড়েনের কারণেই তৃণমূলের ‘সেনাপতি’ সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) তাৎপর্যপূর্ণভাবে চোখে লাগার মতো নীরব ও নিষ্ক্রিয়। নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার নিয়ে কর্মসূচি পালনে ব্যস্ত তিনি। তারই মধ্যে লোকসভাতেও সাংসদ হিসাবে তাঁর ভূমিকা পালনে সচেষ্ট হয়েছেন। অথচ মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইদানীং দলকে নিয়ে যতটা সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে চলেছেন, অভিষেক কিন্তু দলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ বলে এতদিন পরিচিত হলেও এখনও টুঁ শব্দটুকুও করেননি। সাম্প্রতিক অতীতে যা কখনও হয়নি। দলনেত্রীর পাশাপাশি তিনিও বরাবর দলের বিষয়ে সরব হয়েছেন। এইবারই তার ব্যতিক্রম ঘটল।
আরো পড়ুন :- ‘বাংলাদেশের চিঠি পেয়েছি’, জানুন হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে কী বলল কেন্দ্র ?
স্বভাবতই দল ও রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি রদবদলের সুপারিশ পাঁচ মাস পরেও কার্যকর না হওয়াতেই ‘অভিমানবশে’ নীরব রয়েছেন তিনি? তাঁর ‘নীরবতা’ ভাঙতে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি দলনেত্রীর নির্দেশে একাধিকবার কলকাতা এমনকি দিল্লিতেও অভিষেকের সঙ্গে একটি সমাধান সূত্রে আসার জন্য বৈঠক করেছেন। তবু অভিষেক মুখ খোলেননি প্রকাশ্যে।
তবে অভিষেকের ঘনিষ্ঠমহলের নিশ্চিত খবর, আজ না হোক কাল ‘নীরবতা’ ভেঙে তিনি মুখ খুলবেন। বিশেষ করে ১ জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে অভিষেক দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক হিসাবে প্রকাশ্যে মুখ খুলবেন। নেত্রীর মতো তিনিও দলকে বার্তা দেবেন।
আরো পড়ুন :- পাকিস্তান থেকে জাহাজ ভর্তি পণ্য পৌঁছাল বাংলাদেশে, জানুন কী কী আমদানি করা হল ?
এই নিয়ে বুধবার দলের এক প্রবীণ নেতা তথা মন্ত্রী তো বলেই বসলেন, ‘বলতে পারেন আগামী বুধবার ১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দল একটি বড় পরীক্ষার মুখোমুখি হতে চলেছে।’ ‘নীরবতা’ ভেঙে অভিষেক ওইদিন প্রকাশ্যে মুখ খুললে দলের চলতি ‘ঘেঁটে’ যাওয়া অবস্থার ছবিটা বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা স্পষ্ট হবে। দলের ঘরে ও বাইরে নানান জল্পনার অবসান হবে। না হলে দলে শিবির বা বিভাজন আরও প্রকাশ্যে আসবে।’
আরো পড়ুন :- ‘আমি যতদিন সভাপতি ছিলাম, পার্টি হু হু করে বেড়েছে’ কাকে ইঙ্গিত করে এমন বললেন দিলীপ ঘোষ ?
জানা গিয়েছে, এমনিতেই বিভিন্ন কারণে তৃণমূলের অভিষেকপন্থী শিবিরের নেতা ও কর্মীরা কিছুটা কোণঠাসাই। দলনেত্রী অতিসম্প্রতি দল বিরোধী কার্যকলাপের দায়ে যে ক’জন দলের নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন বা বহিষ্কার করেছেন, তাঁরা দলে অভিষেকপন্থী বলেই পরিচিত। দলে নবীনদের তুলনায় প্রবীণদের গুরুত্ব বাড়িয়েছেন দলনেত্রী। আবার এতদিন দলনেত্রীর উত্তরসূরি হিসাবে অভিষেককেই ধরা হতো। কিন্তু এসব এড়িয়ে দলনেত্রী অতি সম্প্রতি প্রকাশ্যে বলেছেন, ‘তাঁর উত্তরসূরি ঠিক করবে দলই।’ এতে কিছুটা ধাক্কাই খেয়েছে দলের অভিষেকপন্থী শিবির।